ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে অস্থিরতা

অনলাইন ডেক্স: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি (এফএসআইবি) এর খুলশী শাখায় মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে কর্মবিরতি পালন করতে দেখা গেছে। এটি শুধু খুলশী শাখার নয়, চট্টগ্রামসহ দেশের সব এফএসআইবি শাখার পরিস্থিতি। কর্মকর্তাদের দাবি, পরীক্ষা নেওয়ার নামে ব্যাংকটির নতুন পরিচালনা পর্ষদ একাধিক কর্মকর্তাকে অপসারণের ষড়যন্ত্র করছে।

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ সিনিয়র অফিসারদের পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। এর ফলে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মকর্তার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই সিদ্ধান্তকে ছাঁটাই করার উদ্দেশ্য হিসেবে দেখছেন। এর প্রতিবাদে তারা পূর্ব ঘোষণা ছাড়া কর্মবিরতি শুরু করেন।

এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “কর্মজীবনের ছয়-সাত বছর পরেও যদি আমাদের ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হয়, তাহলে কেউ তা মেনে নেবে না। আমরা চাই, ব্যাংকিং কাঠামোতে যদি আমাদের যোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় থাকে, তবে আমাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক। তবে স্কুল-কলেজের মতো পরীক্ষা নেওয়া অপসারণের একটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।”

ব্যাংকটির খুলশী শাখা থেকে টাকা তুলতে আসা গ্রাহক জয়নাব হোসেন বলেন, “টাকা তুলতে গিয়ে ব্যাংক বন্ধ দেখতে পাচ্ছি। বুথে গিয়ে তো কিছুই করতে পারব না। এমন চলতে থাকলে ব্যাংকটিতে একাউন্ট রাখা আমাদের ভুল প্রমাণিত হবে।”

আরেক কর্মকর্তা মন্তব্য করে বলেন, “নতুন বোর্ডের পরিকল্পনা হলো, যাদের সিলেকশনের জন্য মেইল পাঠানো হয়েছে, তাদের টার্মিনেশন লেটার ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এই পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা। আমরা সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে কর্মবিরতি পালন করছি, যাতে তাদের পরিকল্পনা নসাৎ করা যায়।”

এ বিষয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি’র সতন্ত্র পরিচালক মো. সাইফুল আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাড়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, ব্যাংকের ক্ষতি হওয়া পরিস্থিতি বাংলাদেশ ব্যাংক বরদাস্ত করবে না। তিনি বলেন, “ব্যাংকের ক্ষতি হলে এর দায়ভার বোর্ডের ওপর পড়বে। যদি কোনো অবহেলা বা সিদ্ধান্তের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়, তা বোর্ডকে সামাধান করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো নৈরাজ্য সহ্য করবে না, এবং যারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী তাদের দায়িত্ব নিতে হবে।”