
প্রতিবেদক: বুধবার (৯ এপ্রিল) বসুন্ধরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে ইতোমধ্যে কিছু ফিনিশ কোম্পানির ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করতে আগ্রহী তারা। বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং টেকসই উন্নয়ন খাতে যৌথভাবে কাজ করতে চায় ফিনল্যান্ডের প্রতিষ্ঠানগুলো।
রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজনেস ফিনল্যান্ড-এর প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি ও শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। প্রতিনিধি দলে ছিলেন — কুলব্রুক প্রজেক্ট ডিরেক্টর শ্রীনিবাসন শ্রীরামুলু, এলেম্যাটিক-এর সন্দীপ কুমার, কোনক্রেইনস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর রতন বিশ্বাস, মিরাসিস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরিন্দম দাস সরকার, রাউটা ডিজিটাল-এর সিইও কুমার অভিজিৎ, ওয়ার্টসিলা বাংলাদেশের সাইফুল ইসলাম এবং ওয়্যারপাস-এর মারুতি মাল্লেপল্লি। এছাড়া ফিনল্যান্ড দূতাবাস ও বিজনেস ফিনল্যান্ড-এর অন্যান্য প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের সেক্টর-সি-এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) শাহেদ জাহিদ প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানান। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রুপের সিনিয়র ডিএমডি মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএমডি কে এম জাহিদ উদ্দিনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠকে প্রযুক্তি স্থানান্তর, টেকসই নির্মাণ, প্রকৌশল, স্বাস্থ্য খাত এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বিশেষ করে সিমেন্ট, পেপার এবং প্রি-কাস্ট বিল্ডিংসহ বেশ কয়েকটি খাতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ নিয়ে মতবিনিময় হয়। ফিনিশ কোম্পানিগুলো সিমেন্ট উৎপাদনে ফসিল ফুয়েলের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ব্যবহারের বিষয়ে প্রযুক্তি স্থানান্তরের প্রস্তাব দেয়, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে উল্লেখ করেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিওও শাহেদ জাহিদ।
বিনিয়োগ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত জানান, এখনও কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে স্বল্প সুদে অর্থায়ন এবং যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ অনুসন্ধানে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শাহেদ জাহিদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে স্বল্পসুদে অর্থায়নের অভাব রয়েছে। ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন। ফিনল্যান্ড সরকার দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ কাঠামোর মাধ্যমে যদি সহায়তা করে, তাহলে এটি দেশের শিল্পখাতে বড় ভূমিকা রাখবে। প্রতিনিধি দল আশ্বাস দিয়েছে — তারা এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে এবং স্বল্প সুদে ঋণ ও যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা খুঁজবে।