
অনলাইন ডেক্স: বছরের শুরুতেই বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, বাজেটের মাধ্যমে না বাড়িয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্যাট বাড়ানোর পেছনে জরুরি অর্থ সংস্থানের প্রয়োজনীয়তা কাজ করেছে।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহতদের জন্য ৩৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে, যার মোট পরিমাণ কয়েকশ কোটি টাকা।
এছাড়া, আন্দোলনে পুড়ে যাওয়া পুলিশের ৩০০ গাড়ি মেরামতে ৫০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই বিপুল পরিমাণ অর্থের সংস্থান দ্রুত করতে ভ্যাট বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে, তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন পণ্যে ভ্যাট কমানোরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং আগামী বাজেটে ভ্যাট নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করা হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের ভূমিকা” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, আর সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আমাদের রিসোর্স ঘাটতি অনেক বেশি, তাই আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, এডিবি’র সহায়তা নিতে হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আমরা কখনও দেনাদার হইনি, বরং সব ঋণ যথাযথভাবে পরিশোধ করেছি।
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিতে হলে কিছু অর্থনৈতিক শর্ত পূরণ করতে হয়। বাংলাদেশ কখনোই এসব শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়নি।
তিনি বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক ভ্যাট বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছিল, কিন্তু এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। “এক-দুই টাকা বাড়ানো শুধু প্রবাসীদের জন্য সমস্যা তৈরি করে না, বরং আমদানিকারকদের ওপরও চাপ বাড়ায়, যার ফলে আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যায়।”
তিনি আশ্বাস দেন, ভবিষ্যতে ভ্যাট নির্ভরতা কমিয়ে বিকল্প উপায়ে রাজস্ব সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হবে।