বছরে কোটি রুপি আয়কারীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে

প্রতিবেদক: ভারতে বছরে কোটি রুপি আয় করা নাগরিকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সমীক্ষা সংস্থা হুরুন ইন্ডিয়ার হিসাব অনুযায়ী, গত ছয় অর্থবছরে বছরে কোটি রুপি আয়কারীর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে। আগামী দিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী মানুষ বসবাস করছেন মুম্বাইয়ে।

‘মার্সিডিজ-বেঞ্জ হুরুন ইন্ডিয়া ওয়েলথ, ২০২৫’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বছরে কোটি রুপি রোজগারকারী ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৮১ হাজার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ২৭ হাজার। অর্থাৎ ছয় বছরে এই শ্রেণির ধনকুবের বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।

এদিকে সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউশনাল রিসার্চ জানায়, ২০১৯-২৪ সালের মধ্যে বছরে ১০ কোটি রুপি রোজগারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। ২০২৪ সালে বছরে ১০ কোটি আয়কারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৮০০। একই সময়ে পাঁচ কোটি রুপি রোজগারকারীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ২০০, যা বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। এছাড়া বছরে ৫০ লাখ রুপি আয়কারীর সংখ্যাও বেড়েছে ২৫ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১০ কোটি রুপি রোজগারকারীদের আয় বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি হারে বেড়েছে ১২১ শতাংশ।

হুরুন রিপোর্টের হিসাবে, ২০২১ সালে নেট সম্পদ ৮ কোটি ৫০ লাখ রুপি সমপরিমাণ পরিবারের সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৫৮ হাজার। ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৭১ হাজার। অর্থাৎ, ভারতে ধনী পরিবারের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে চলেছে।

প্রথমবারের মতো প্রকাশিত মার্সিডিজ-বেঞ্জ হুরুন ইন্ডিয়া ইনডেক্স (এমবিএইচএক্স) ও লাক্সারি কনজ্যুমার সার্ভে ২০২৫ অনুযায়ী, ভারতের ‘মিলিয়নিয়ার রাজধানী’ হলো মুম্বাই। সেখানে রয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার সম্পদশালী পরিবার। এরপরেই আছে দিল্লি (৬৮ হাজার ২০০ পরিবার) ও বেঙ্গালুরু (৩১ হাজার ৬০০ পরিবার)। রাজ্যগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র, যেখানে মিলিয়নিয়ার পরিবারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৮ হাজার। রাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধিই এই সমৃদ্ধির মূল কারণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জরিপে আরও দেখা যায়, ধনীদের মধ্যে ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। ইউপিআই অ্যাপ ব্যবহার করেন প্রায় ৩৫ শতাংশ ধনী। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে শেয়ারবাজার, আবাসন ও স্বর্ণ। আর ব্র্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আস্থা অর্জন করেছে রোলেক্স, তানিস্ক, এমিরেটস ও এইচডিএফসি ব্যাংক।