
প্রতিবেদক: বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ ৩০০ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, “আমাদের দুর্বলতা খুঁজে বের করতে হবে। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। উৎপাদন ও মোড়কীকরণে চীনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাবে।
শুক্রবার আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আয়োজিত দুই দিনের প্রদর্শনী ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ইন বাংলাদেশ এক্সিবিশন ২০২৫’–এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও বিষয়টি জানানো হয়।
ঢাকার চীনা দূতাবাস প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সবুর হোসেন, ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং বাংলাদেশে চীনা এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশনের (সিইএবি) সভাপতি হান কুন প্রমুখ।
এবারের প্রদর্শনীতে ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৮০টি বুথ রয়েছে, যার মধ্যে ৩২টি প্রতিষ্ঠান চীনের। অবকাঠামো, প্রযুক্তি, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবহন, লজিস্টিকস ও উৎপাদন খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করছে। পাশাপাশি থাকছে সরকারি ও ব্যবসায়ী পর্যায়ের বৈঠক। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, এই প্রদর্শনী পারস্পরিক সহযোগিতা ও আইডিয়া শেয়ার করার প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সংযোগ স্থাপিত হবে।
চীন ও জাপানের তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, তৈরি পোশাকসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এগিয়ে। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ আমরা। তবে সামগ্রিকভাবে এখনও পিছিয়ে আছি।
সড়ক অবকাঠামো ও পরিবহনব্যবস্থা উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিবছর বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় বিপুল মানুষ মারা যায়। এ পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাই সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবহনব্যবস্থা আধুনিকীকরণে চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন।