
অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ছয়টি আধুনিক পণ্যবাহী জাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার প্রতিটির সক্ষমতা ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টিইইউ। দক্ষিণ কোরিয়ার ইডিইসিএফের সঙ্গে ৩৩ কোটি ডলার (প্রায় ৪ হাজার ২৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা) ব্যয়ে এই জাহাজগুলো কেনার জন্য একটি ধারণাপত্র সই হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশন এ প্রকল্পের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে, তবে প্রকল্প বাস্তবায়ন ইডিইসিএফের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, নতুন ছয়টি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত হলে সংস্থাটির সক্ষমতা ও আয় বাড়বে। পাশাপাশি আরও ছয়টি জাহাজ কেনার পরিকল্পনাও হাতে নেওয়া হয়েছে, ফলে সব মিলিয়ে বিএসসির বহরে ১২টি নতুন জাহাজ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এদিকে, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিএসসির মুনাফা বেড়েছে। অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ৫২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৯ পয়সা। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিএসসির ইপিএস ৯ টাকা ৩৫ পয়সা হয়েছে, আগের বছর যা ছিল ৬ টাকা ৫৯ পয়সা।
মুনাফা বৃদ্ধির পেছনে বিএসসি ও মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কৌশলগত পদক্ষেপ ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ, সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি। নতুন ১২টি জাহাজ বহরে যুক্ত হলে মুনাফা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বিএসসির পরিশোধিত মূলধন ছিল ১৫২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। সরকারের মালিকানায় রয়েছে ৫২.১০ শতাংশ শেয়ার (মূল্য ৭৯ কোটি ৪৬ লাখ টাকা) এবং বেসরকারি শেয়ারহোল্ডারদের অংশ ৪৭.৯০ শতাংশ (মূল্য ৭৩ কোটি ০৭ লাখ টাকা)।
গত এক বছরে বিএসসির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ১৩১ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৫৩ টাকা ১০ পয়সা। কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৩ সালে ২৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।