
প্রতিবেদক: রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জ্বালানি সংকটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে দেশের প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে (এফডিআই) মন্দাভাব থাকলেও, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সেই ধারা বদলেছে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে নিট এফডিআই এসেছে ৮৬ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে দেশে মোট এফডিআই এসেছে ১৫৮ কোটি ডলার। তবে এই সময়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ৭১ কোটি ডলার ফেরত নিয়ে গেছেন। ফলে নিট এফডিআই দাঁড়ায় ৮৬ কোটি ডলারে।
নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ২০২২ সালের পর এই প্রথম এত বেশি হলো। ওই বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে নিট এফডিআই ছিল ৮৯ কোটি ডলার, ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৬৩ কোটিতে এবং ২০২৪ সালের একই সময়ে আরও কমে গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৪০ কোটি ডলারে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে নতুন ইক্যুইটি বিনিয়োগ এসেছে ২৭ কোটি ডলার, যা আগের বছরের (১২ কোটি) দ্বিগুণের বেশি।পুনর্বিনিয়োগ আয় থেকে এসেছে ১৯ কোটি ডলার।আন্তঃকোম্পানি ঋণ এসেছে ৪০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশে নিট এফডিআইয়ের বড় অংশই পুনর্বিনিয়োগ আয় থেকে আসে, অর্থাৎ বিদেশি কোম্পানিগুলোর আগের বিনিয়োগ থেকে হওয়া মুনাফারই পুনরায় বিনিয়োগ হয়।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন প্রণোদনার বিষয়টি পর্যালোচনায় আনতে সরকার একটি পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে। গত ২৯ মে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এক মাসের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, এই বছরের এফডিআই আসার পেছনে আমাদের ভূমিকা যৎসামান্য। বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত আগে থেকেই নেওয়া ছিল। হয়তো প্রসেসটা কিছুটা গতিশীল হয়েছে।