প্রতিবেদক: বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালনা পর্ষদের ৩৫টি পরিচালক পদের জন্য প্রাথমিক প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলিয়ে মোট ৯৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। আগামী ২৮ মে দুই অঞ্চলেই একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, ৬ মে পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে ৮ মে। ভোটগ্রহণের স্থান এখনো নির্ধারণ না হলেও স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বিজিএমইএর নিজস্ব ভবনের বাইরে নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে বিজয়ী ৩৫ জন পরিচালক ১১ জুন এক সভায় ভোটের মাধ্যমে একজন সভাপতি এবং সাতজন সহ-সভাপতি নির্বাচন করবেন।
প্রথাগতভাবে বিজিএমইএর নির্বাচনে দুটি প্যানেল—‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’—প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে। এবারও একই চিত্র দেখা গেছে। ‘সম্মিলিত পরিষদ’-এর প্যানেল লিডার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন চৈতি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল কালাম এবং ‘ফোরাম’-এর নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের সাবেক সহ-সভাপতি ও রাইজিং গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসান খান বাবু।
নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইকবাল। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন—ল ফার্ম ‘সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’-এর ব্যবস্থাপনা অংশীদার ব্যারিস্টার সৈয়দ আফজাল হাসান উদ্দিন এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ।
এ ছাড়া নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর। সদস্য হিসেবে রয়েছেন বার্জার পেইন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুপালী হক চৌধুরী এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ.এন.এম. কুদরত-ই-খুদা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ নিরঙ্কুশ জয় পায় এবং এস এম মান্নান কচি সভাপতি নির্বাচিত হন। তবে ভোটার তালিকা নিয়ে ফোরাম পক্ষ আপত্তি তোলে এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনে ফোরাম পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে পূর্ববর্তী পর্ষদ বাতিল করা হয়।
