বিডার কাছে ছয় মাসে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব, ২০% চূড়ান্ত পর্যায়ে

প্রতিবেদক: ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ছয় মাসে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রাথমিক প্রস্তাব পেয়েছে। এই প্রস্তাবের প্রায় ২০ শতাংশ ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার মধ্যে রয়েছে চুক্তি স্বাক্ষর, জমি ইজারা নিশ্চিতকরণ ও বরাদ্দপত্র প্রদান। বিডা কর্মকর্তারা এ অবস্থা দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্য আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে (এসইজেড) বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে, যা এ প্রগতির প্রমাণ। বিডার ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের প্রধান নাহিয়ান রহমান রোচি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য শুধু বিনিয়োগের পরিমাণ নয়, বরং বিনিয়োগের মান ও টেকসই পরিস্থিতি নিশ্চিত করা। বিনিয়োগ প্রস্তাবের এই গতি অব্যাহত থাকলে আগামী পাঁচ-ছয় মাসে আরও ফলপ্রসূ অগ্রগতি সম্ভব।

বিডার তথ্য অনুযায়ী, এক বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবের প্রায় ৬০ শতাংশ এখনও প্রাথমিক আলোচনা, পরিকল্পনা বা সম্ভাব্যতা যাচাই পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ প্রস্তাব চূড়ান্ত বিশ্লেষণের আওতায় রয়েছে এবং আনুষ্ঠানিক নথি তৈরির আগে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ ও স্বচ্ছতার প্রয়োজনে বেজা একটি ইউনিফাইড ইনভেস্টমেন্ট পোর্টাল তৈরি করছে। এই প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগের অবস্থা, অঞ্চলভিত্তিক অগ্রগতি, জমির প্রাপ্যতা এবং অনুমোদনের সময়সীমাসহ মূল তথ্য একত্রিত করা হবে। বেজার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী সদস্য মো. নজরুল ইসলাম জানান, “বর্তমানে তথ্য বিভিন্ন সংস্থায় ছড়িয়ে আছে। পোর্টালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় হবে, যা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং প্রশাসনিক ফলোআপের সময় কমাবে। এছাড়া বিনিয়োগের ধাপগুলোতে তাৎক্ষণিক তথ্য আপডেট প্রদান করবে, যা সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অংশের কাজও সহজ করবে।

টেকসই বিনিয়োগ আকর্ষণে বেজা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক পরামর্শকদের সহায়তায় একটি গবেষণা ইউনিট চালু করেছে। এই ইউনিট সম্ভাবনাময় খাত যেমন রাবার, ফার্নিচার, ফার্মাসিউটিক্যালস ও পর্যটন খাত চিহ্নিত করছে। বেজার নির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা দীর্ঘমেয়াদি গবেষণায় বিনিয়োগ করছি, যাতে বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার এবং জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা যায়।