বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের ঘোষণায় এক মাসে ২৭২ বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ আগ্রহ

In শেয়ার বাজার
August 12, 2025

প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা করতে হলে প্রথমেই একটি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব খুলতে হয়। এই হিসাব দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউসে বা মার্চেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে খোলা যায়। ব্যাংকে টাকা জমা বা ঋণ নিতে যেমন ব্যাংক হিসাব থাকা বাধ্যতামূলক, তেমনি শেয়ার কেনাবেচার ক্ষেত্রেও বিও হিসাব বাধ্যতামূলক। আইপিও বা সেকেন্ডারি বাজার—যেকোনো ক্ষেত্রে বিও হিসাব ছাড়া লেনদেন সম্ভব নয়। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহর ও জেলা শহরে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা রয়েছে এবং অনলাইনেও বিও হিসাব খোলা যায়।

বিও হিসাব খোলার জন্য কিছু কাগজপত্র ও তথ্য প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি, মুঠোফোন নম্বর ও ই-মেইল, পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদের কপি, ব্যাংক হিসাবের তথ্য, পিতা-মাতা ও স্বামী/স্ত্রীর নাম-তথ্য, এবং নমিনির তথ্যসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ও ছবি। বিও হিসাব খোলার খরচ সাধারণত এক হাজার টাকার মধ্যে থাকে, যদিও ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকভেদে এ খরচ কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে।

বিও হিসাব থাকা শেয়ারবাজারে লেনদেনের জন্য অপরিহার্য। এটি শেয়ার কেনাবেচার রেকর্ড সংরক্ষণ করে, ডিভিডেন্ড ও বোনাস শেয়ার পাওয়াকে সহজ করে এবং কেনাবেচা প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় করে। আগে কাগুজে শেয়ার থাকলেও এখন প্রায় সব শেয়ার ডিম্যাট ফর্মে থাকে, যা কেবল বিও হিসাবের মাধ্যমেই ব্যবস্থাপনা সম্ভব। ডিভিডেন্ড সরাসরি বিও হিসাবের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংক হিসাবে জমা হয় এবং বোনাস শেয়ার যুক্ত হয় বিও হিসাবে।

বিও হিসাব খোলার ক্ষেত্রে মুঠোফোন নম্বর ও ই-মেইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শেয়ার কেনা-বেচা হলেই তাৎক্ষণিকভাবে মুঠোফোনে বার্তা আসে এবং ই-মেইলে লেনদেনের হালনাগাদ বিবরণ পাঠানো হয়। এতে বিনিয়োগকারী যেকোনো সময় নিজের বিনিয়োগের অবস্থা সম্পর্কে অবগত থাকতে পারেন।