বে-টার্মিনাল প্রকল্পে সুখবর আসছে মার্চে: বন্দর চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেক্স: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে মার্চে সুখবর আসতে পারে। তিনি বলেন, “বে-টার্মিনাল বাংলাদেশের জন্য গেম চেঞ্জার প্রকল্প। এটি নিয়ে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে, এবং আশা করছি, মার্চের মাঝামাঝি এ প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।”

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের শহীদ ফজলুর রহমান মুন্সী অডিটোরিয়ামে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। আইএসপিএসের মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বন্দরের নিরাপত্তা ভেদ করে কিছু অপরাধী অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গতকালও (বুধবার) আমরা কিছু চোর ধরেছি, যারা গাড়ির নিচে ঝুলে বন্দরে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।”

বন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, জাহাজগুলোর বন্দরের আউটারে অবস্থান করার প্রবণতা রয়েছে, যা বাজারের সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটায়। তাই মালামাল লোড করার পর লাইটার জাহাজগুলোকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পোর্ট লিমিট ত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় চট্টগ্রাম বন্দর আইন ও আইএসপিএস কোড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমকে আরও জনবান্ধব করতে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, “গত সরকারের আমলে বন্দর নানা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি ছিল। তবে আমরা তা ভেঙে দিয়েছি, যার ফলে বন্দরের খরচ কমেছে এবং কার্যক্রমে গতিশীলতা এসেছে।”

২০২৩ সালের তুলনায় চট্টগ্রাম বন্দর কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে ৭.৪২% এবং কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে ৩.১১% প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট যাতে না হয়, সে বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ সক্রিয় রয়েছে বলে জানান বন্দর চেয়ারম্যান। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা থাকে, তা পর্যাপ্ত পরিমাণে আমদানি করা হয়েছে। আমরা শিডিউলিংয়ের মাধ্যমে বন্দরের পরিবহন ব্যবস্থা আরও গতিশীল করছি। তাই কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যেন কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, বন্দরের ভেতরে বা বাইরে যেন যানজট তৈরি না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ।