বোরো চালের দাম কমলেও সবজির বাজারে আগুন

প্রতিবেদক: বোরো মৌসুমের ধান কাটা শুরু হওয়ায় বাজারে নতুন চাল আসতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে মিনিকেটসহ সরু চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে সবজির বাজারে এখনও আগুনঝরা দামই বিরাজ করছে, যা ভোগাচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা ও নাখালপাড়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, নতুন সরু চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ থেকে ৮২ টাকায়, যেখানে পুরোনো চালের দাম ৭৮ থেকে ৮৬ টাকা। মোটা চালের দাম কেজিতে ২ টাকা কমে এখন ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় এবং মাঝারি চাল ৫৭ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন ধান বাজারে আসায় প্রতি বস্তায় (২৫ কেজি) ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। ফলে খুচরা বাজারেও দাম কমতির দিকে। তবে পুরোনো মিনিকেট চালের দাম এখনও কিছুটা বেশি রয়েছে।

অন্যদিকে সবজির বাজারে ক্রেতাদের হতাশ হতে হচ্ছে। শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কমে গেছে। ফলে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম তুলনামূলক বেশি। পেঁপে, পটোল, ঢ্যাঁড়শ, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল ও ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। উচ্ছে ও বেগুনের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং বরবটি ও কাঁকরোল ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। টমেটো ৩০ থেকে ৪০, শসা ৬০ থেকে ৭০, গাজর ৪০ থেকে ৫০ ও কাঁচামরিচ মানভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আলুর দামে স্বস্তি, বাড়তি চাপ মাছ ও চিংড়িতে

আলুর বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি দাম ১৭ থেকে ২০ টাকা, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ২ থেকে ৩ টাকা কম। তবে মাছের বাজারে দাম বেড়েছে। চাষের রুই ও কাতলা ৩২০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৪০ টাকা এবং পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাষের চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং নদীর চিংড়ি ৯০০ থেকে ১,১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কেজিতে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

দীর্ঘদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার চড়া। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির দামে রয়েছে কিছুটা স্বস্তি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৫০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগের তুলনায় অন্তত ৪০ টাকা কম। ফার্মের ডিমের দামও প্রায় দুই মাস ধরে স্থির রয়েছে—প্রতি ডজন ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। ভ্যানে করে কিছুটা ছোট আকারের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

সার্বিকভাবে চালের দামে স্বস্তি এলেও সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্য এখনও ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।