
অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশের ব্যান্ডউইথ আমদানির সীমা নির্ধারণ করেছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ৬,৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথের ৫০ শতাংশের বেশি ভারত থেকে আমদানি করা যাবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশের মোট ব্যান্ডউইথ ব্যবহারের ৬০ শতাংশ ভারত থেকে ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে আমদানি করা হয়। অন্যদিকে, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) দেশের মোট ব্যান্ডউইথের ৪০ শতাংশ সরবরাহ করে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান এমদাদ উল বারী জানান, ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানির পরিমাণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সাবমেরিন কেবল থেকে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে। এছাড়া, বাকি ১০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে।
বিটিআরসির নথি অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) নির্দেশিকা সংশোধনের মাধ্যমে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বিএসসিপিএলসির সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আরিফুল হক জানান, তারা অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহের জন্য প্রস্তুত।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, আইআইজি অপারেটররা তাদের মোট ব্যান্ডউইথের ১০ শতাংশ পর্যন্ত স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন/ভিএসএটি-এর মাধ্যমে ব্যাকআপ রাখতে পারবে, যতক্ষণ না বিকল্প লং ডিসটেন্স কমিউনিকেশন (আইএলডিসি) রুট পাওয়া যায়।
স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন বলতে স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযুক্ত যেকোনো গ্রাউন্ড স্টেশন বোঝায়।
ভিএসএটি (Very Small Aperture Terminal) হলো এক ধরনের স্যাটেলাইট স্টেশন, যা ছোট ডিশ অ্যান্টেনা ব্যবহার করে ডেটা আদান-প্রদান করে। এটি সাধারণত দূরবর্তী অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়, যেখানে ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত।
অপারেটরদের অবশ্যই সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) মেনে চলতে হবে এবং স্যাটেলাইট ব্যাকআপ ব্যান্ডউইথ নিশ্চিত করতে বিটিআরসির অনুমোদন নিতে হবে।