ভারতীয় আমদানি বাধায় বাংলাদেশের বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা, সমাধান খুঁজছে সরকার

প্রতিবেদক: ভারত বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কি না, সে বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি জানতে পেরেছেন এবং তা বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক বিচার–বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। কী করণীয়, সে বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

আজ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ভারতের এমন সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, “ভারতে আমাদের আসবাব খুব বেশি রপ্তানি হয় না, তবে পোশাকখাত থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি হয়। আমাদের পণ্য রপ্তানির পেছনে মূল কারণ হচ্ছে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা। আমরা আশা করি, উভয় দেশের ভোক্তা ও ব্যবসায়ীর স্বার্থে এই বাণিজ্য সম্পর্ক চলমান থাকবে।”

এটি ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের ধারাবাহিকতা কি না, জানতে চাইলে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এটি তার ধারাবাহিকতা নয়। বরং এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ভৌগোলিক কারণে দুই দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। পরিস্থিতি পুরোপুরি বুঝতে এক–দুই দিন সময় লাগবে। এরপর সুনির্দিষ্ট করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

বাণিজ্য উদারীকরণে সরকারের বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “ব্যবসায় অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে হবে এবং ভোক্তা ও ব্যবসায়ীর স্বার্থ রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব।” তিনি বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যে ভারসাম্য এখনও ভারতের দিকেই বেশি। এই ঘাটতি একদিনে কমবে না, এটি সময়সাপেক্ষ একটি প্রক্রিয়া।”