ভারতের নতুন স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

প্রতিবেদক: ভারত আরও চারটি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের কিছু পণ্যের আমদানি বন্ধ করলেও রপ্তানিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নামাতে বাংলাদেশ দর-কষাকষি চালিয়ে যাচ্ছে এবং এতে আশাবাদী সরকার।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে কিছু সমস্যা থাকলেও পরিস্থিতি এতটা অস্থিতিশীল নয় যে ব্যবসা–বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আইনশৃঙ্খলা কোনো বড় বাধা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চার ধরনের পাটজাত পণ্য এখন আর স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা যাবে না; কেবল মুম্বাইয়ের নভসেবা বন্দর দিয়ে এসব পণ্য প্রবেশ করতে পারবে। এ বিষয়ে গত সোমবার ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য মহাপরিচালক (ডিজিএফটি) প্রজ্ঞাপন জারি করেন।

গত কয়েক মাসে ভারত একাধিকবার বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অশুল্ক বাধা দিয়েছে। ১৭ মে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। এর আগে ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর ব্যবহার করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা বাতিল করে।

এছাড়া, ভারতের রপ্তানি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের এক সপ্তাহ পর বাংলাদেশও ভারত থেকে স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানি বন্ধ করে। আগে বেনাপোল, ভোমরা, সোনা মসজিদ, বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে এ আমদানি চালু ছিল।