ভারতের নিষেধাজ্ঞায় কমেছে কৃষিপণ্য রপ্তানি, বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদক গত অর্থবছরে বাংলাদেশের কৃষিপণ্যের মোট রপ্তানি সামান্য বেড়েছে, তবে ভারতের বাজারে রপ্তানি কমে গেছে। বিশেষত ভোমরা ছাড়া সব স্থলবন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার, মসলা, ফল, কোমল পানীয় ও পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানিতে ভারতের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, এখন শুধু একটি বন্দর (ভোমরা) ব্যবহার করতে হওয়ায় জাহাজীকরণে দেরি হচ্ছে, লজিস্টিক খরচ বেড়েছে এবং বাধ্যতামূলক পরীক্ষার কারণে রপ্তানি কার্যক্রম ধীর হয়ে পড়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানি হয়েছে ৯৮৯ মিলিয়ন ডলার, যা আগের বছর ছিল ৯৬৪ মিলিয়ন ডলার।

ভারতের বাজারে রপ্তানি কমে হয়েছে ১৪৫ মিলিয়ন ডলার, আগের বছর ছিল ১৯২ মিলিয়ন ডলার।

শুকনো খাবার রপ্তানি কমেছে ১৪%, চিনি ও কনফেকশনারি ১৭-১৮%, পানীয় ১.৫২% এবং মসলা ১.১৮%।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থলবন্দরের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ভারতের বাজারে কৃষিপণ্য রপ্তানি হ্রাসের সরাসরি যোগ রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সামগ্রিক কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২.৫২%, যেখানে আগের বছর তা ছিল ৩.৯%।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, একমাত্র ভোমরা দিয়ে পণ্য রপ্তানি করায় খরচ ও সময় বহুগুণ বেড়েছে। প্রতিটি পণ্য বাধ্যতামূলকভাবে ল্যাব টেস্ট করাতে হচ্ছে, যা একপ্রকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।

বম্বে সুইটসের জেনারেল ম্যানেজার খুরশিদ আহমেদ ফরহাদ জানান, ভারতে ভোগ্যপণ্য রপ্তানিতে মারাত্মক পতন হয়েছে এবং এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক।

স্কয়ার গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপমুখী হওয়ায় তুলনামূলকভাবে প্রভাবমুক্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মো. পারভেজ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভারতের ওপর

সরকার ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে ১৫% প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও বাস্তবতা বলছে, তা অর্জন কঠিন হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো দ্রুত কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে যাতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সহজ ও বন্ধুত্বপূর্ণ রাখা যায়।