
প্রতিবেদক: বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি খাতে গত মার্চে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। মার্চ মাসে দেশ থেকে মোট ৪২৫ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এই তথ্য প্রকাশ করেছে, যা দেশের পণ্য রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও দৃঢ় অবস্থানকে তুলে ধরেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস (জুলাই-মার্চ) পর্যন্ত দেশ থেকে মোট ৩ হাজার ৭১৯ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। রপ্তানির এই প্রবৃদ্ধি প্রবাসী আয় বৃদ্ধি এবং পণ্য রপ্তানির ধারাবাহিক ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির ফলস্বরূপ সম্ভব হয়েছে।
তবে মার্চ মাসে পণ্য রপ্তানির মধ্যে ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে অধিক রপ্তানি কার্যক্রমের কারণে বাড়তি কাজের চাপ তৈরি হয়েছে। গত মাসে প্রবাসী আয়ও ৩২৯ কোটি ডলার পৌঁছেছে, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়াবিহীন জুতা, প্লাস্টিক, প্রকৌশল পণ্য, এবং পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে কৃষিপণ্যের রপ্তানি কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের পণ্য আমদানিতে পাল্টা শুল্ক বসানোর পর বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এই কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন, বিশেষত যারা তৈরি পোশাক, চামড়া, জুতা, ক্যাপ, হিমায়িত খাদ্য এবং অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করেন।
রপ্তানির সাফল্য হলেও কিছু খাতে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কের কারণে ক্রয়াদেশ স্থগিত হচ্ছে এবং মূল্যছাড়ের দাবি উঠছে। তবে, তৈরি পোশাক এবং চামড়া পণ্যের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে, বিশেষত মার্চ মাসে ৩৪৫ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে, যা ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া, পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি এখনো ঘুরে দাঁড়ায়নি, তবে কিছু পণ্য যেমন চামড়াবিহীন জুতা, প্রকৌশল পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, এবং প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি বেড়েছে।