
প্রতিবেদক: মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৪০০ ধনী ব্যক্তির মধ্যে মাত্র ৬২ জন নারী আছেন। সংখ্যার হিসেবে এটি মোটের ওপর ১৫.৫ শতাংশ। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬৭ জন বা প্রায় ১৭ শতাংশ। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম তালিকায় নারীর উপস্থিতি কমল।
ফোর্বসের হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিধনী নারীদের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৭২ বিলিয়ন ডলার (৮৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার)। এক বছর আগে এই অঙ্ক ছিল ৮৩৯ বিলিয়ন ডলার।
অ্যালিস ওয়ালটন – ১০৬ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: ওয়ালমার্ট | বয়স: ৭৫ বছর
অ্যালিস ওয়ালটন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী নারী। টানা এক দশকে ৯ বার তিনি তালিকার শীর্ষে ছিলেন। প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক এই ওয়ালটন উত্তরাধিকার সূত্রে ওয়ালমার্ট ব্যবসা থেকে ধনী হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম ধনী ব্যক্তি এবং প্রথম নারী ‘সেন্টিবিলিয়নিয়ার’।
জুলিয়া কচ – ৮১.২ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: কচ ইনকরপোরেটেড | বয়স: ৬৩ বছর
স্বামী ডেভিড কচের মৃত্যুর পর তিনি কোম্পানির ৪২.৫% শেয়ারের মালিক হন। সম্প্রতি তিনি ও তাঁর পরিবার এনএফএল দলের নিউইয়র্ক জায়ান্টসের একটি অংশ কিনেছেন।
জ্যাকুলিন মার্স – ৪২.২ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: মার্স ইনকরপোরেটেড (চকলেট ও পোষা প্রাণীর খাবার) | বয়স: ৮৫ বছর
মার্স পরিবারের উত্তরাধিকারী জ্যাকুলিন মার্স এমঅ্যান্ডএমস, স্নিকার্স, পেডিগ্রির মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের মালিকানায় শীর্ষ ধনী নারীদের তালিকায় রয়েছেন।
মিরিয়াম অ্যাডেলসন – ৩৭.৯ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: ক্যাসিনো ব্যবসা (লাস ভেগাস স্যান্ডস করপোরেশন) | বয়স: ৭৯ বছর
প্রয়াত স্বামী শেলডন অ্যাডেলসনের ব্যবসা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছেন। চিকিৎসা ও দাতব্য কাজে তাঁর খ্যাতি রয়েছে।
অ্যাবিগেইল জনসন – ৩৫ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: বিনিয়োগ (ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টস) | বয়স: ৬৩ বছর
ফিডেলিটি ইনভেস্টমেন্টসের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ খাতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন।
ম্যাকেঞ্জি স্কট – ৩৩.৯ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: অ্যামাজন | বয়স: ৫৫ বছর
অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বিপুল সম্পদের মালিক হন। বর্তমানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও দাতব্য কাজে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করছেন।
ম্যারিলিন সিমন্স – ৩২.৫ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: হেজ ফান্ড | বয়স: ৭৪ বছর
এসজেএল সিমন্স করপোরেশনের মালিক হিসেবে বিনিয়োগ ও বিনোদন ব্যবসায় যুক্ত। দাতব্য কার্যক্রমে সক্রিয়।
অ্যান কক – ৩০.৯ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: কচ ইনকরপোরেটেড | বয়স: ৮৩ বছর
কচ পরিবারের আরেক উত্তরাধিকারী। শিক্ষাক্ষেত্র ও দাতব্য কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস – ২৯ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: মাইক্রোসফট ও বিনিয়োগ | বয়স: ৬১ বছর
বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি ‘বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে বৈশ্বিক উন্নয়ন ও দাতব্য কার্যক্রমে সক্রিয়।
মেলোডি স্টিভেনসন – ২৭.৪ বিলিয়ন ডলার
সম্পদের উৎস: তেল ও গ্যাস (এন্ডেভার এনার্জি রিসোর্সেস) | বয়স: ৫০ বছর
বাবার মৃত্যুর পর কোম্পানির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। বর্তমানে এনার্জি খাতে শীর্ষ ধনীদের একজন।