যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫% শুল্ক ইস্যু: শুক্রবার অনলাইন মিটিং, লবিস্ট নিয়োগ করেনি সরকার

প্রতিবেদক: বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না—এ কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানান, শুক্রবার (আগামীকাল) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি অনলাইন মিটিং নির্ধারিত আছে। সেই বৈঠকের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে। সরকার এ নেগোসিয়েশনের জন্য কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি বলেও তিনি স্পষ্ট করেছেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তৃতীয় দফার সরাসরি বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সময় চেয়েছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ মেলেনি। ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার প্রেক্ষাপটে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এটি যেমন বাংলাদেশের জন্য জরুরি, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। “আমাদের কর্মকাণ্ড স্থবির নয়, গতিশীলভাবে এগোচ্ছে,”—বলেই তিনি জানান, জবাব পেলেই দলটি যুক্তরাষ্ট্রে যাবে।

ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের আলোচনা থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো লবিস্ট নিয়োগ করা হয়নি। শেখ বশিরউদ্দীনের ভাষায়, যে কাঠামোর ওপর এই পুরো বিষয়টি দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে নানা আইনি ও আন্তঃমন্ত্রণালয় পরিবর্তন আনতে হবে—যা “বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কারও বোঝা কঠিন।” গত ১৫ দিন দিন-রাত আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ে কাজ হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে যুক্তরাষ্ট্রকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে’—এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে অনাগ্রহী হন। তবে বলেন, “আমি একজন বাংলাদেশি। বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে কেন কাজ করব? স্বার্থ ক্ষুণ্ন করলে এত পরিশ্রম, এত মিটিংয়ের প্রয়োজন হতো না।”

উপদেষ্টার মতে, আজ–কালকের মধ্যে অনলাইন মিটিংয়ের সময়সূচি নিশ্চিত হবে বলেই তাঁরা আশা করছেন। “এই অনলাইন মিটিংয়ের ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করবো,”—বলেন তিনি। আগস্টের আগে আমন্ত্রণ না এলেও তাঁরা সিডিউল পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।