
প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেওয়ায় দেশের রপ্তানিমুখী খাতগুলোতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে, শুল্কনীতি পুনর্বিবেচনা ও কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন (বিজিএমইএ)।
রোববার, রাজধানীর এক হোটেলে বিজিএমইএ বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক এবং বাংলাদেশের রপ্তানি প্রভাবমূল্যায়ন এবং কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো নিরূপণ’ শীর্ষক এক সংলাপের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতারা যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন এবং সম্ভাব্য করণীয় নির্ধারণ করেন।
বিজিএমইএ’র প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপে এফবিসিসিআই এর প্রশাসক হাফিজুর রহমান, সাবেক বিজিএমইএ সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা, সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক, এলএফএমইএবি সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিকেএমইএ এর সভাপতি মো. হাতেম, এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ বিভিন্ন খাতের নেতারা অংশ নেন।
সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য রপ্তানি খাত চরম সংকটের মুখে পড়বে। শুল্ক বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে, যার কারণে বাজারে চাহিদা কমবে এবং প্রতিযোগিতা তীব্র হবে।
রপ্তানিকারকরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছে এবং উপযুক্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমাধানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।” তারা আশা করেন, সরকার দ্রুততার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান বের করবে।
এছাড়া, ব্যবসায়ীরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং শুল্ক নীতির যৌক্তিকীকরণ এবং কাস্টমস প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার এবং দেশটির বাজার বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, যে সরকার এই সংকট মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখবে।