
প্রতিবেদক: চলতি বছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা শুল্ক আদায় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এ আয় ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বেসেন্ট জানান, মূলত চলতি বছরের ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক আরোপ এবং ৯ এপ্রিল থেকে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের মাধ্যমে এই রাজস্ব বৃদ্ধির ধারা শুরু হয়। পাশাপাশি ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ির ওপরও শুল্ক আরোপ করা হয়।
দেশটির অর্থ বিভাগের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ৩০০ বিলিয়ন ডলার আয় ধরা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া পঞ্জিকা বছরের জন্য, সরকারি অর্থবছরের (যা শেষ হয় ৩০ সেপ্টেম্বর) জন্য নয়।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড পরিমাণ ২২.৮ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায় হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চার গুণ বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসে আদায় ছিল মাত্র ৬.২ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া ২০২৫ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে মোট আদায় ৮৬.১ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৫ সালের পঞ্জিকা বছরের প্রথম পাঁচ মাসে আদায় হয়েছে ৬৩.৪ বিলিয়ন ডলার।
আসন্ন জুন মাসের বাজেটে, যা শুক্রবার প্রকাশিত হবে, সেখানে শুল্ক আদায়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির তথ্য আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩০ জুন পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে শুল্ক ও আবগারি শুল্ক মিলিয়ে মোট আদায় ১২২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
ট্রাম্প মন্ত্রিসভার সাম্প্রতিক বৈঠকে জানিয়েছেন, তামার ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। কারণ, এই ধাতু আবাসন, ইলেকট্রনিকস, যানবাহন, বিদ্যুৎ ও সামরিক খাতে বহুল ব্যবহৃত।
তিনি আরও জানান, শিগগির সেমিকন্ডাক্টর ও ওষুধের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।