
অনলাইন ডেক্স: ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিরা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এ মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯১.২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত আগস্টে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে দীর্ঘদিনের শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছাড়িয়ে গেছে।
শীর্ষ রেমিট্যান্স প্রেরক দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র – ৪৯১.২৬ মিলিয়ন ডলার, সংযুক্ত আরব আমিরাত – ৩৩৪.৯৪ মিলিয়ন ডলার, সৌদি আরব – ৩২৮.৮৪ মিলিয়ন ডলার,যুক্তরাজ্য – ৩০৫.৫২ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়া – ১৮৩.৮৭ মিলিয়ন ডলার
এছাড়া, শীর্ষ ১০টি রেমিট্যান্স প্রেরক দেশের তালিকায় রয়েছে কুয়েত, ওমান, ইতালি, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসীরা ২,৫২৮ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ২৫% বেশি।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২,০২২ মিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রেমিট্যান্স প্রবাহের হার ২৩.৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৮,৪৯০ মিলিয়ন ডলার।২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ১৪,৯৩৫ মিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মূল্যস্ফীতির চাপ, বিনিময় হারের ওঠানামা ও আমদানি ব্যয়ের কারণে রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তি দিচ্ছে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে—রেমিট্যান্সের প্রবাহ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করেছে এবং লক্ষ লক্ষ পরিবারকে সহায়তা করেছে।
দারিদ্র্য হ্রাস, জীবনমান উন্নয়ন ও আঞ্চলিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ও বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা কমাতে রেমিট্যান্স আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক অভিবাসী কর্মীদের সহায়তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রেমিট্যান্সের অর্থনৈতিক সুবিধা আরও বাড়ানো, গ্রহীতাদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উন্নত করা এবং বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে লক্ষ্যমাত্রাভিত্তিক কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে।