
প্রতিবেদক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফিলিপাইনের পণ্য আমদানিতে ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত জানান তিনি। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, এটি একটি বড় বাণিজ্য চুক্তির অংশ, যার আওতায় ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করবে এবং দুদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতাও থাকবে। তবে ফিলিপাইনের পক্ষ থেকে এখনো এই চুক্তি নিশ্চিত করা হয়নি। উল্লেখ্য, ২ এপ্রিল ট্রাম্প ৫৭টি দেশের পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে ফিলিপাইনের শুল্ক ছিল ১৭ শতাংশ; এখন তা ১৯ শতাংশে উন্নীত হবে।
ট্রাম্প বলেন, শুল্কের মাধ্যমে তিনি নিশ্চিত করতে চান যে, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যায় বাণিজ্যনীতি গ্রহণ করা হবে না। পাল্টা শুল্ক প্রথমে তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়, পরে আরও সময় বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা চালাচ্ছে, যাদের সঙ্গে চুক্তি হবে না, তাদের আলাদা চিঠি পাঠানো শুরু করেছে।
ট্রাম্প ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য, চীন, ইন্দোনেশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছেন, যদিও সেখানে উচ্চ শুল্ক বজায় রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অমীমাংসিত রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কানাডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বাণিজ্য অংশীদাররা অনিশ্চিত অবস্থানে রয়েছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্ভাব্য প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নিতে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, “জটিল আলোচনা চলছে,” কিন্তু সময়সীমার মধ্যে চুক্তি হবে কি না নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি যোগ করেন, “চুক্তি করাটাই সব নয়; খারাপ চুক্তি মেনে নেওয়া হবে না।”
ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় ছোট বাণিজ্য অংশীদার হলেও গত বছর ১৪.২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করেছে, যার মধ্যে গাড়ির যন্ত্রাংশ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, বস্ত্র ও নারকেল তেল রয়েছে।
ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোও ক্ষতির মুখে পড়েছে। জেনারেল মোটরস জানিয়েছে, নতুন শুল্কের কারণে তারা তিন মাসে ১০০ কোটি ডলার বেশি ক্ষতি করেছে। স্টেলান্টিস নামের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি শুল্কের কারণে ৩৫ কোটি ডলার ক্ষতির কথা জানিয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে বলে ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন। এই চুক্তির আওতায় জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং জাপানি বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য, গাড়ি ও অন্যান্য পণ্যের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত হবে। এছাড়াও, জাপান ১৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপে সম্মত হয়েছে