
অনলাইন ডেক্স: পবিত্র রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ লেবুর দাম এক মাসে কয়েক ধাপে বেড়ে গেছে। বর্তমানে বাজারে ১ হালি (৪টি) লেবুর দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজা এলেই ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে লেবুর দাম বাড়িয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ও শুক্রবার সকালে নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জাত ও আকারভেদে লেবুর দাম ভিন্ন। রিয়াজউদ্দিন বাজারে—
বড় লেবুর ডজন: ২০০–২৫০ টাকা।মাঝারি লেবুর ডজন: ১৬০–২০০ টাকা।ছোট লেবুর ডজন: ১২০–১৫০ টাকা।
খুচরা বাজারে বিক্রেতারা ১ হালি লেবুর দাম চাইছেন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আর প্রতি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
লেবু ব্যবসায়ী মো. জামাল বলেন, কিছুদিন আগেও এক বস্তা লেবুর দাম ছিল ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে ১৪ থেকে ১৫ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। বেশি দামে কেনা, তাই বিক্রি করতেও বেশি দাম নিতে হচ্ছে।” তিনি জানান, প্রতি বস্তায় ১,৮০০ থেকে ২,০০০ লেবু থাকে।
আরেক ব্যবসায়ী মো. শাহআলম বলেন, এখন লেবুর মৌসুম নয়, তাই দাম বেশি। উৎপাদন খরচও বেড়েছে। কৃষকদের কাছ থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরা বাজারেও দাম বেশি।” তিনি আরও জানান, বর্ষার মৌসুমে লেবুর ফলন বেশি হয়, তখন দাম কমে যাবে।
পাইকারি আড়তে বড় লেবুর প্রতি পিস ৯ থেকে ১২ টাকা, আর ছোট লেবু ৫ থেকে ৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
এক মাস আগে লেবুর হালি ২০–৩০ টাকায় পাওয়া গেলেও, এখন তা ৬০–৮০ টাকা। ক্রেতাদের অভিযোগ, রোজা আসলেই ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেন।
ক্রেতা মো. শামীম আক্ষেপ করে বলেন, “রমজান এলেই লেবু আপেলের মতো দামে বিক্রি হয়! এত দাম কীভাবে হয়?”
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিজন না থাকায় দাম কমার সম্ভাবনা কম। তবে ক্রেতারা মনে করছেন, রোজার চাহিদার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার জন্যই লেবুর দাম বাড়ানো হয়েছে।