রাজশাহী টেক্সটাইল মিল পুনরায় চালু: ছয় মাসেই ২ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান, লক্ষ্য আরও ১০ হাজার

প্রতিবেদক: দীর্ঘ ২২ বছর পর আবার চালু হওয়া রাজশাহী টেক্সটাইল মিল ছয় মাসের মধ্যেই দুই হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এই মিলটি পুনরায় চালুর মাধ্যমে রাজশাহী অঞ্চলে নতুন করে কর্মসংস্থানের দ্বার খুলে দিয়েছে।

 শনিবার রাজশাহীর সপুরায় অবস্থিত বরেন্দ্র রাজশাহী টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শ্রম ও কর্মসংস্থানবিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, “প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু একটি শিল্পকারখানার পুনরায় চালুই নয়, বরং একটি অঞ্চলের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের সূচনা।”

অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠানটি টেলি মার্কেটিং, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শ্রমঘন খাতে বিনিয়োগ করে আরও ১০ হাজার কর্মসংস্থান তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এতে নারীদের জন্যও কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম, বিটিএমসির ব্যবস্থাপক নুরুল আলম এবং স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রাণ-আরএফএল চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, “ঢাকামুখী কাজের চাহিদা এখন কমবে। আমরা ভবিষ্যতে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করে লোকজনকে স্থানীয় পর্যায়েই কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে চাই। রাজশাহীতে বিনিয়োগ তারই অংশ।”

তিনি আরও জানান, রাজশাহী টেক্সটাইল কারখানাটি হবে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পপার্ক, যেখানে উৎপাদিত পণ্য হবে শতভাগ রপ্তানিমুখী।

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিটিএমসির সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল রাজশাহী টেক্সটাইল মিলটি নতুনভাবে চালুর উদ্যোগ নেয়। গত ডিসেম্বরে মিলটির দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটি একটি পরিত্যক্ত শেড সংস্কার করে ব্যাগ ও জুতা উৎপাদন শুরু করে।