
প্রতিবেদক: রাশিয়ায় পোশাক রপ্তানির বিপরীতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ৭৬ লাখ মার্কিন ডলার দেশে ফেরত আনতে পারছেন না বাংলাদেশের ১৪ জন রপ্তানিকারক। মূলত লেনদেন ব্যবস্থায় জটিলতার কারণেই রাশিয়ার বায়াররা এই অর্থ পরিশোধ করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
বুধবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, রাশিয়ার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে লেনদেন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে রাশিয়ায় রপ্তানিকৃত পোশাকের বিপরীতে পাওয়া অর্থ দেশে আনা যাচ্ছে না।
এই সমস্যার সমাধানে মোহাম্মদ হাতেম দুটি প্রস্তাব দিয়েছেন— রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছে বাংলাদেশের যে বকেয়া অর্থ রয়েছে, তার বিপরীতে এই অর্থ সমন্বয় করা।বিকল্পভাবে ‘বার্টার ট্রেড’ বা পণ্য-সেবা বিনিময়ভিত্তিক বাণিজ্য চালু করা, যাতে উভয় পক্ষই উপকৃত হতে পারে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশও রূপপুর প্রকল্পের ঋণের অর্থ পরিশোধে সমস্যায় পড়েছে।
বিকেএমইএর আগামী ১০ মে’র নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘প্রগ্রেসিভ নিট অ্যালায়েন্স’ প্যানেলের অবস্থান তুলে ধরা হয়, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বর্তমান সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের প্রভাব বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এতে কাঁচামাল সরবরাহে বড় কোনো সমস্যা হবে না। তবে সীমান্ত বাণিজ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাও কিছুটা বিঘ্নের মুখে পড়তে পারে।
তিনি কর ও ভ্যাট বিষয়ে বলেন, বর্তমান করব্যবস্থা বিনিয়োগ ও ব্যবসাবান্ধব নয়। ট্যাক্সের নামে জোর করে অর্থ আদায় করা হচ্ছে, যা রপ্তানিকারকদের জন্য বাড়তি জটিলতা তৈরি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসানসহ প্যানেলের অন্যান্য সিনিয়র নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।