প্রতিবেদক: চলতি অর্থবছর থেকে ১৩ ধরনের সরকারি ও বেসরকারি সেবার ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেখানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়েছে। আগে এসব সেবা গ্রহণ করতে গেলে সর্বশেষ বছরের রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখাতে হতো। নতুন সিদ্ধান্তে সাধারণ করদাতারা কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
এখন থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র কেনা এবং মেয়াদি আমানত (এফডিআর) খোলা ও বহাল রাখার ক্ষেত্রে রিটার্নের প্রয়োজন নেই। এছাড়া যেকোনো ধরনের ক্রেডিট কার্ড নেওয়া ও নবায়নের ক্ষেত্রেও রিটার্ন দেখানোর বাধ্যবাধকতা উঠে গেছে। একইভাবে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় নতুন ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার সময় এবং সমবায় সমিতির নিবন্ধন গ্রহণেও রিটার্ন জমা দিতে হবে না।
সাধারণ বিমার তালিকাভুক্ত সার্ভেয়ারের নতুন লাইসেন্স গ্রহণ, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, স্থপতি প্রভৃতি পেশাজীবীদের স্বীকৃত সংস্থার সদস্যপদ গ্রহণ, এবং ৫ লাখ টাকার বেশি পোস্ট অফিস সঞ্চয়ী হিসাব খোলার ক্ষেত্রেও এখন রিটার্নের প্রয়োজন নেই।
এমপিওভুক্তির মাধ্যমে দশম গ্রেড বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কোনো সরকারি অর্থপ্রাপ্তির সময়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তি ও রিচার্জের ক্ষেত্রে কমিশন বা ফি গ্রহণেও রিটার্ন প্রমাণপত্র লাগবে না। এছাড়া স্ট্যাম্প ও কোর্ট পেপারের ভেন্ডর বা দলিল লেখক হিসেবে তালিকাভুক্তি, ত্রিচক্র যানবাহনের নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ই–কমার্স ব্যবসার লাইসেন্স গ্রহণেও এই শিথিলতা প্রযোজ্য হবে।
এই পদক্ষেপ কর প্রদানে উৎসাহ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
