
প্রতিবেদক: ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানির ৪৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ঘোষণায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওয়ালটন জানিয়েছে, তারা উচ্চ মানের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি তৈরি করতে চায়, যাতে দেশের ব্যাটারি আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়। এ প্রকল্পে প্রতিষ্ঠানটি ১১৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে কারখানায় উৎপাদন শুরু হবে। কারখানা থেকে বছরে প্রায় ১৪৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকার ব্যাটারি বিক্রি সম্ভব হবে।
লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি হলো এক ধরনের রিচার্জেবল ব্যাটারি, যা অন্যান্য ব্যাটারির তুলনায় বেশি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী। বাংলাদেশে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারির ব্যবহার বাড়ছে, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও সৌর বিদ্যুৎখাতে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ডিজিটাল ক্যামেরা, স্মার্ট ওয়াচ এবং পোর্টেবল গেমিং কনসোলে এই ব্যাটারির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন প্রকার ও ক্ষমতার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি পাওয়া যায়।
এর আগে ২০১৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর টেলিকম খাতে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন ও হুয়াওয়ে যৌথভাবে লিথিয়াম ব্যাটারি উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষর করে। এছাড়া বাংলাদেশ লিথিয়াম ব্যাটারি লিমিটেড চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি আধুনিক কারখানা স্থাপন করেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৫) ওয়ালটনের মুনাফা কমেছে। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১২ টাকা ৯৪ পয়সা, যেখানে গত বছর একই সময়ে ছিল ১৩ টাকা ৯৩ পয়সা। প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৫ টাকা ১৭ পয়সা।
তবে কোম্পানির নগদ অর্থপ্রবাহের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। প্রথম তিন প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল মাইনাস ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যেখানে আগের বছর একই সময়ে ছিল ২২ টাকা ৮৮ পয়সা।
গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদ সভায় ওয়ালটন চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদন করে তা প্রকাশ করে।