শেয়ারবাজারে পতন: দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে যেসব কোম্পানির

প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন শেষে মোট ৩১৩ কোটি ৬ লাখ ২৩ হাজার টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। দিনজুড়ে শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আজ শেয়ারদর পতনে শীর্ষে রয়েছে ইউনিয়ন ক্যাপিটাল লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কমে ৪ দশমিক ৩০ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৪ টাকায়। উল্লেখযোগ্য যে, এই কোম্পানি সর্বশেষ ২০১৮ সালে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার কোম্পানির। তাদের শেয়ারের দাম কমেছে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যা গতকালের ৩ দশমিক ১০ টাকা থেকে কমে আজ হয়েছে ২ দশমিক ৯০ টাকা। এই কোম্পানি সর্বশেষ নগদ লভ্যাংশ দেয় ২০১৮ সালে এবং স্টক লভ্যাংশ দেয় ২০২০ সালে।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড, যার শেয়ারের দাম ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে গেছে। এই মিউচুয়াল ফান্ড ২০২১ সালে ৮ শতাংশ, ২০২২ সালে ৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালান্সড ফান্ড। এর শেয়ার দর ৫ শতাংশ কমে ৬ টাকা থেকে হয়েছে ৫ দশমিক ৭০ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ০.৮০ শতাংশ, ২০২১ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১ দশমিক ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, যার শেয়ারের দাম আজ ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮০ টাকায়। গতকাল এই শেয়ারের দাম ছিল ৬ দশমিক ১০ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৪ ও ২০২৩ সালে ১ শতাংশ করে এবং ২০২২ সালে ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

সার্বিকভাবে দেখা যাচ্ছে, এসব কোম্পানির মধ্যে বেশ কয়েকটি অনেক বছর ধরেই কম লভ্যাংশ দিয়ে আসছে বা ব্যবসায় দুর্বলতা দেখা গেছে, যা বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে দাম কমার এই প্রবণতা ভবিষ্যতে আরও চাপ তৈরি করতে পারে বাজারে।