
প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে শেয়ারের বিপরীতে দেওয়া মার্জিন লোন বা ঋণের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হচ্ছে। নতুন খসড়া বিধিমালা অনুযায়ী এখন থেকে ভালো মৌলভিত্তির ‘এ’ শ্রেণিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে ছাড়া অন্য কোনো শ্রেণির শেয়ারে ঋণ দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া বিনিয়োগকারীর ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা নিজস্ব বিনিয়োগ থাকতে হবে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইতিমধ্যে মার্জিন ঋণসংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া প্রকাশ করেছে। অংশীজনদের মতামত নিয়ে সংযোজন–বিয়োজন শেষে তা চূড়ান্ত করা হবে। তবে খসড়ার কিছু ধারা নিয়ে বাজারসংশ্লিষ্টদের আপত্তি রয়েছে।
শুধুমাত্র ‘এ’ শ্রেণির কোম্পানির শেয়ারে ঋণ দেওয়া যাবে।যেসব কোম্পানি বা খাতের পিই রেশিও ৩০ বা তার বেশি, সেসব শেয়ারে ঋণ দেওয়া নিষিদ্ধ।আনরিয়ালাইজড গেইনের বিপরীতে ঋণ দেওয়া যাবে না।ন্যূনতম ৫ লাখ টাকা নিজস্ব বিনিয়োগ থাকতে হবে।বিনিয়োগের বিপরীতে সর্বোচ্চ ঋণ পাওয়া যাবে ১:১ অনুপাতে।‘এ’ শ্রেণি থেকে অবনতি হয়ে ‘বি’ বা ‘জেড’ শ্রেণিতে নামলে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ফোর্সড সেল করতে হবে।
অংশীজনদের মতে, এসব ধারা কার্যকর হলে ঋণযোগ্য কোম্পানির সংখ্যা এক শতাধিক থেকে নেমে আসবে এক শোর নিচে। এতে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমলেও বাজারে ঋণপ্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে।
বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, “খসড়া বিধিমালার কিছু ধারা নিয়ে আমাদের মধ্যে অস্পষ্টতা রয়েছে। কিছু ধারা বাস্তবভিত্তিক নয়। সদস্যদের মতামত নিয়ে আমরা সুপারিশ দেব।”
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, “কিছু ধারা বাস্তবসম্মত নয়। তবে মোটাদাগে খসড়ার সঙ্গে আমরা একমত। চাই, পরিবর্তন হোক আন্তর্জাতিক রীতিনীতি অনুযায়ী।
এদিকে খসড়া প্রকাশের পর কিছু শেয়ারের দামে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিয়েছে।বিএসইসির মুখপাত্র আবুল কালাম বলেন,অংশীজনদের মতামত যাচাই–বাছাই করে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের পর বিধিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
অংশীজনদের আরেকটি বড় আপত্তি হলো ঋণপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীর অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে ঋণ আছে কি না, তার ঘোষণাপত্র যাচাইয়ের বিধান। তারা বলছেন, বর্তমানে এমন তথ্য যাচাইয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। এজন্য ব্যাংক খাতের মতো একটি তথ্যভান্ডার তৈরি করতে হবে।