শেয়ারবাজারে শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন, আয় কমলেও স্থিতিশীলতা বজায়

প্রতিবেদক:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষস্থানে ছিল। আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মোট লেনদেনের অবদান ছিল ৬.১২ শতাংশ।

সর্বশেষ কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর ০.১০ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে ৪১৬ টাকা ৬০ পয়সায় স্থির হয়। সেদিন শেয়ারদর ৪১০ থেকে ৪১৯.৯০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে। দিনজুড়ে মোট ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৯৩টি শেয়ার ১৩.৬৪ কোটি টাকা মূল্যে লেনদেন হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২১৭.২০ থেকে ৬৯৭.৯০ টাকার মধ্যে উঠানামা করেছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৬৬ পয়সা—অর্থাৎ আয় ১২ পয়সা কমেছে। তবে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ পয়সা, যা আগের বছর ছিল ৮ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৫.৯৯ টাকা।

ওরিয়ন ইনফিউশন ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ওই সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল ২.০৮ টাকা এবং এনএভি ছিল ১৫.৪৫ টাকা। আগের বছর ২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়, যেখানে ইপিএস ছিল ২.০৬ টাকা এবং এনএভি ছিল ১৪.৩২ টাকা।

বর্তমানে কোম্পানিটির মোট ২ কোটি ৩ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬০টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৪০.৬১%,প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২.৬৪%,বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.৫%,সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৪৬.৭০%।

১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিতে উন্নীত হয় ওরিয়ন ইনফিউশন। কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা, পরিশোধিত মূলধন ২০.৩৬ কোটি টাকা, এবং রিজার্ভ ১১.০৯ কোটি টাকা।

সাম্প্রতিক সময়ে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ারদর কিছুটা কমলেও কোম্পানিটি স্থিতিশীল অবস্থানে রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি সম্ভাবনাময় কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।