
প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ৪৩টি সাধারণ বীমা কোম্পানি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে মোট ৩১৭ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ৩১৩ কোটি টাকা ছিল। যদিও মোট মুনাফা সামান্য বেড়েছে, তবে কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশির ভাগের মুনাফায় নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। শীর্ষ পাঁচ কোম্পানি—রিলায়েন্স, গ্রিন ডেল্টা, পাইওনিয়ার, প্রগতি ও সেনা ইন্স্যুরেন্স—মোট নিট মুনাফার প্রায় ৪৪ শতাংশের জন্য দায়ী, যা প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।
প্রান্তিক ভিত্তিতে প্রথম ছয় মাসে ১৫৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা নিট মুনাফা ছিল, যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বেড়ে ১৬০ কোটি ২৫ লাখ টাকায় পৌঁছেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২০ কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে, ২৩টির কমেছে। ছয় মাসের হিসাবে ১৮টির মুনাফা বেড়েছে, ২৫টির কমেছে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারে সর্বাধিক ৫ টাকা ৩৯ পয়সা (ইপিএস) অর্জন করেছে রিলায়েন্স, ৩ টাকা ৪৭ পয়সা ইপিএস নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে সেনা ইন্স্যুরেন্স। ২১টি কোম্পানির ইপিএস ১ টাকা থেকে ২ টাকা ৮২ পয়সার মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে গ্রিন ডেল্টা, প্রগতি, পাইওনিয়ার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল, এশিয়া প্যাসিফিক, ক্রিস্টাল, ইস্টার্ন, ইউনাইটেড ও সিটি জেনারেল উল্লেখযোগ্য।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের সিইও খালেদ মামুন জানিয়েছেন, মুনাফার এই সামান্য বৃদ্ধিকে প্রকৃত অর্থে প্রবৃদ্ধি বলা যাবে না। কারণ নতুন বিনিয়োগ খুব কম হওয়ায় বীমার চাহিদা সীমিত। ব্যবসায়িক সুনাম থাকায় বড় কোম্পানি ও বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ব্যবসার প্রিমিয়ামই কোম্পানিকে টিকিয়ে রেখেছে।
শীর্ষ পাঁচ কোম্পানির নিট মুনাফা মোট ১৩৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা মোট মুনাফার প্রায় ৪৪ শতাংশ। শীর্ষ দশ কোম্পানির নিট মুনাফা ১৮২ কোটি টাকা, মোটের সাড়ে ৫৭ শতাংশ। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স সর্বাধিক ৫৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা মুনাফা করেছে, দ্বিতীয় স্থানে গ্রিন ডেল্টা ২৮ কোটি ২৫ লাখ, পাইওনিয়ার ২১ কোটি ৫০ লাখ, প্রগতি ১৮ কোটি ৩৭ লাখ, সেনা ১৩ কোটি ৮৮ লাখ এবং সিটি জেনারেল ১১ কোটি ১১ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করেছে।
এপ্রিল-জুন প্রান্তিকেও নিট মুনাফায় শীর্ষে ছিল রিলায়েন্স, যা ৩২ কোটি ৮১ লাখ টাকা। গ্রিন ডেল্টা প্রান্তিকে ১৮ কোটি, প্রগতি ১০ কোটি, পাইওনিয়ার ৮ কোটি ৩১ লাখ এবং সেনা ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা মুনাফা করেছে।