শোকাহত দেশ, সংহতি জানালো ব্যবসায়িক সংগঠনগুলো

প্রতিবেদক:রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে যে ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, তা দেশজুড়ে গভীর শোকের ছায়া ফেলেছে। সোমবার দুপুরে স্কুলচত্বরের একটি দোতলা ভবনে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ধরে যায়। ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ২৫ জন শিশু, একজন শিক্ষক ও বিমানটির পাইলট। ছয়জন নিহতের পরিচয় এখনও শনাক্ত হয়নি, যাঁদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

সরকার মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে এবং আজকের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো একে একে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছে।

সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, এখন জাতীয় শোকের সময়। সম্ভাবনাময় শিশু-তরুণদের প্রাণহানি হৃদয়বিদারক এবং গভীরভাবে অস্বস্তিকর।” এমসিসিআই নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছে, “জাতীয়ভাবে সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ এই শোক কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে, যদিও তা যথেষ্ট নয়।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-ও এ ঘটনায় শোক জানিয়েছে। সংগঠনের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান নিহতদের আত্মার শান্তি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।

ডিসিসিআই তাদের শোকবার্তায় বলেছে, এই দুর্ঘটনায় শিক্ষকসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত ও মর্মাহত।” একই সঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনার কথাও জানিয়েছে সংগঠনটি।

ডিএসই এক বিবৃতিতে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানিয়েছে। আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দিয়েছে তারা।

সমিতির আহ্বায়ক মাহবুব উল্লাহ ও সদস্যসচিব মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন,পাইলট, শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানি আমাদের ব্যথিত ও শোকাভিভূত করেছে। তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।

এছাড়াও শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই), বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এবং আরও কিছু সংগঠন।

এই দুর্ঘটনা যেন সমগ্র জাতিকে এক করেছিল শোকের অনুভবে। ব্যবসায়ী সমাজের এই সহমর্মিতা ও মানবিকতা প্রমাণ করে—বিপদের সময় বাংলাদেশ এক অভিন্ন পরিবার।