শ্রমবাজার ও সুদহার নীতি নিয়ে ফেডকে সতর্ক থাকতে বলছে আইএমএফ

প্রতিবেদক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানিগুলো এখন পর্যন্ত পাল্টা শুল্কের বড় অংশ নিজস্বভাবে বহন করছে। তবে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর পণ্যের চাহিদা কম থাকায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতিতে মিশ্র পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে—এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

আইএমএফের মুখপাত্র ও কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলি কোজাক গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। তিনি জানান, পাল্টা শুল্কজনিত অনিশ্চয়তার মধ্যেও বৈশ্বিক অর্থনীতি বছরের প্রথমার্ধে স্থিতিশীল ছিল। তবে এখন অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দার সংকেত দেখা যাচ্ছে। তাঁর ভাষায়, ‘মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চিত্র কিছুটা মিশ্র।

জুলি কোজাক বলেন, পাল্টা শুল্কের কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর একটি কারণ। তবে চীনসহ বেশ কিছু এশীয় দেশে এখনো মুদ্রাস্ফীতির চাপ কম, যা রপ্তানি চাহিদার ওপর শুল্কের প্রভাবকে স্পষ্ট করে।

তিনি জানান, কোম্পানিগুলো শুল্কের একটি বড় অংশ নিজেদের কাঁধে নিচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির প্রভাব এখনো তুলনামূলকভাবে সীমিত রয়েছে। তবে এটি কত দিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

আইএমএফের পরবর্তী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে ১৪ অক্টোবর। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতিতে পাল্টা শুল্কের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা থাকবে। নভেম্বর মাসে আর্টিকেল ফোর পর্যালোচনাতেও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে।

জুলি কোজাক জানান, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে নমনীয়তার কারণে গত সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতি সুদের হার কমানো প্রয়োজন ছিল। তবে এতে মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি রয়েছে। তিনি বলেন, সুদহার নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ফেডকে নতুন অর্থনৈতিক তথ্যের ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে।