
প্রতিবেদক: নাসা গ্রুপ শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে সম্পত্তি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রুপ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার সম্পত্তি বিক্রির জন্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেছেন।
গ্রুপটি জানিয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই এসব সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে। যে সম্পত্তিগুলো বিক্রি করা হবে তার মধ্যে রয়েছে—গুলশানের ৭ নম্বর রোডের ৬ নম্বর প্লট, আশুলিয়ার তৈয়বপুর মৌজায় ৫ বিঘা জমি ও ৭ তলা ভবন, নারায়ণগঞ্জের চর চেঙ্গাকান্দি মৌজায় ১০ বিঘা জমি এবং প্রায় ৮৬ কোটি টাকার বিভিন্ন শেয়ার ও রাজউকের প্লট।
আজ শনিবার জেলগেটে ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন সংস্থা ও বাহিনীর উপস্থিতিতে নাসা গ্রুপ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্বাক্ষর নেওয়া হয় বলে জানান গ্রুপের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম। তিনি বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ১৭ সেপ্টেম্বর জানায়, ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি স্বাক্ষর না করলে নাসা গ্রুপের মালিক, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের পাসপোর্ট বাতিলসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয় নাসা গ্রুপের সম্পত্তির একটি তালিকাও তৈরি করেছে। এতে রয়েছে গুলশান-১–এ দুটি ১২ তলা ভবন, তেজগাঁও শিল্প এলাকায় ৩ বিঘা জমি, মহাখালী ডিওএইচএসে ১০ কাঠা, নিকেতন, উত্তরা ও দিয়াবাড়িতে জমি ও প্লট, পূর্বাচলে প্লট ও হাসপাতাল, মেঘনা ঘাটে জমি, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩০০ বিঘা জমি, এমনকি দুবাইয়ে খেজুরবাগান ও রিসোর্ট। এছাড়া এক্সিম ব্যাংকে ২৪ কোটি টাকা জমাও রয়েছে।
বর্তমানে নাসা গ্রুপের বিভিন্ন কারখানায় ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু ২২টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ৮ হাজার ৬৭৬ কোটি টাকার খেলাপি হওয়ায় কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে শ্রমিকেরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না এবং পাওনার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।