
প্রতিবেদক: চাহিদা কম থাকায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুকনা হলুদের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে মসলাজাত পণ্যটির আমদানি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে নেমে এসেছে, যা গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাসের তুলনায় বিপুল হ্রাস নির্দেশ করছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, দেশীয় বাজারে হলুদের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় আমদানি কমেছে। তবে বন্দরে আমদানি কমলেও সাতক্ষীরার মসলাবাজারে গুড়া হলুদের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। শনিবার সাতক্ষীরা জেলা সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের খুচরা মসলাপণ্য বিক্রেতা মেসার্স সরদার স্টোরে গুড়া হলুদের খুচরা মূল্য প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী আব্দুল হাকিম জানান, শুধু গুড়া হলুদ নয়, জিরা, রসুন ও শুকনা মরিচের দামও বাজারে স্থিতিশীল রয়েছে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখার তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাইয়ে এখান দিয়ে শুকনা হলুদের আমদানি হয়েছে ১ হাজার ২৩৫ টন, যার মূল্য ছিল ২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তুলনামূলকভাবে গত অর্থবছরের একই সময়ে আমদানি হয়েছিল ৩ হাজার ৬১৯ টন, যার মূল্য ছিল ৭৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে হলুদের আমদানি কমেছে ২ হাজার ৩৮৪ টন।
ভোমরা স্থলবন্দরের মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী মো. আবু হাসান জানিয়েছেন, স্থানীয় বাজারে অন্যান্য সময়ের তুলনায় শুকনা হলুদের চাহিদা কম থাকায় আমদানি হ্রাস পেয়েছে।সাতক্ষীরার মসলাবাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার বিষয়টি জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা এস.এম আব্দুল্লাহও নিশ্চিত করেছেন।