সাপোর্ট না পেলেও বাস্তবসম্মত বাজেট দেওয়া হবে: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন

প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা না পেলেও একটি ম্যানেজেবল ও বাস্তবভিত্তিক বাজেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া) ইংমিং ইয়াং–এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, “এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট আমাদের ইকোনমির সার্বিক অবস্থা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি— আগের চেয়ে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মাইক্রো ইকোনমির অনেক ক্ষেত্রেই অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংকিং খাতেও নানা সংস্কার কার্যক্রম চালানো হয়েছে। বিশেষ করে বাণিজ্য বা ‘ট্রেড’ খাতে উন্নয়নের জন্য একটি সামিট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

আইএমএফ ঋণ পেতে বিলম্ব হওয়ায় এডিবির বাজেট সহায়তায় প্রভাব পড়বে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “বাজেট সাপোর্টের ক্ষেত্রে এডিবি আইএমএফের অবস্থান বিবেচনা করে। তারা মাইক্রো ইকোনমির বিভিন্ন দিক জানতে চেয়েছে। এ নিয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা আশা করছি, বিষয়টি সমাধান হবে।”

এডিবি বাংলাদেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নিয়ে সন্তুষ্ট কি না— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তারা জানিয়েছে, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক ভালো করছে। এই অর্জন নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।”

তিনি আরও বলেন, “এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য বাংলাদেশ যেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাতে এডিবি ইতিবাচক। আমাদের উন্নয়নে তারা নজর রাখছে এবং প্রকল্প সহায়তা ছাড়াও ব্যাংকিং খাত ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চলমান সংস্কারে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।”

বাজেট সহায়তায় শর্ট টার্মে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “বাজেট সাপোর্ট নিয়ে আমরা আশাবাদী। এডিবির ‘সফট ল্যান্ডিং উইন্ডো’ আস্তে আস্তে উন্মোচিত হচ্ছে। তবে আমরা চেয়েছি— ‘ওসিএফ ফান্ড’ থেকে সহায়তা। যদিও তারা বলেছে, এ ফান্ড সীমিত।”

কর ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা করের হার ও পরিধি বাড়াচ্ছি। বাজেট সহায়তা নিতে গেলে যদি আইএমএফ কোনো অযৌক্তিক শর্ত দেয়, সেটিও আমরা পর্যালোচনা করব। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে— বাজেটে ব্যয় কমানো ও দক্ষতা বাড়ানো।”

তিনি সাফ জানিয়ে দেন, “আমরা যদি আইএমএফ বা এডিবির সাপোর্ট না-ও পাই, তবুও বাস্তবভিত্তিক বাজেট দেওয়া হবে।”