
প্রতিবেদক: সার, গম, এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) এবং অকটেন আমদানির সাতটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এসব আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এসব প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় অর্থ উপদেষ্টা জানান, গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে প্রায় ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, “চাল ও গমের মজুত সন্তোষজনক হলেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫০ হাজার টন গম আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো ঘাটতি না দেখা দেয়।”
তিনি আরও বলেন, ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের প্রভাবে হরমুজ প্রণালির পণ্য পরিবহনে শঙ্কা দেখা দিলেও বাংলাদেশে এখনো আমদানি-রপ্তানিতে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েনি। তবে মরক্কো ও তিউনিসিয়া থেকে আমদানিকৃত সারের দাম কিছুটা বেড়েছে।
সরকারি বিতরণব্যবস্থা সচল রাখা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৬৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
এ ছাড়া তিনটি দেশ থেকে মোট এক লাখ ৫ হাজার টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে কানাডা থেকে ৪০ হাজার টন এমওপি, তিউনিসিয়া থেকে ২৫ হাজার টন টিএসপি এবং মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আনা হবে। এসব সারে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৮১ কোটি টাকা।
স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন পেয়েছে। সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ভিটল এশিয়া থেকে ৫৬৯ কোটি ২৯ লাখ টাকায় এই এলএনজি আমদানি করা হবে।
এ ছাড়া জুন মাসে ২৫ হাজার টন অকটেন (গ্যাসোলিন ৯৫ আনলেডেড) আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া থেকে এই অকটেন আনতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।