
অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি)-তে ভুল তথ্য প্রদান করলে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা গুনতে হবে। একই সঙ্গে, ভুল তথ্যের পক্ষে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ নির্দেশনা জারি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকিং খাতে ঋণের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সিআইবিতে সঠিক তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক। এজন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণগ্রহীতাদের ঋণের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে হালনাগাদ করে পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আগে প্রতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে এসব তথ্য আপলোডের নিয়ম ছিল। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে প্রতিটি ব্যাংক ও ফাইন্যান্স কোম্পানিকে ঋণগ্রহীতাদের সব ঋণতথ্য মাসিক ভিত্তিতে পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সিআইবি সিস্টেমে আপলোড করতে হবে।
সিস্টেমে তথ্য আপলোডের ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তা সংশোধন করতে হবে।নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঋণতথ্য হালনাগাদ করে যথাসময়ে জমা দিতে ব্যর্থ হলে, তার কারণ ব্যাখ্যা করে ৩ দিনের মধ্যে সিআইবিকে জানাতে হবে।ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বা ফাইন্যান্স কোম্পানিকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হবে।
একইসঙ্গে, দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সিআইবি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিশেষ বিভাগ, যেখানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ সংক্রান্ত সব তথ্য সংরক্ষিত থাকে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগে ঋণ নিয়েছে কি না, ঋণ পরিশোধের অবস্থা কী, এমনকি ঋণের জামানত সংক্রান্ত তথ্যও এখানে সংরক্ষিত থাকে। পাশাপাশি, ঋণখেলাপিদের তথ্যও সিআইবি থেকে জানা যায়।
এই নতুন নির্দেশনার ফলে ঋণ তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আসবে এবং ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা আরও সুসংহত হবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।