সুফি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবিতে চট্টগ্রামে প্রতিবাদ

In ইভেন্টস
May 08, 2025

প্রতিবেদক: ইসলামের সুফিতাত্ত্বিক গবেষক, বিশিষ্ট শিল্পপতি এবং পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান একুশে পদকপ্রাপ্ত সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা “মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা” প্রত্যাহারের দাবিতে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রামের সুন্নি জনতা। একই সঙ্গে মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার প্রতিবাদেও অংশ নিয়েছেন তারা।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো জানানো হয়। আয়োজনে বলা হয়, সুফি মিজানকে হয়রানি করতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রেস ক্লাব চত্বরে এক বিশাল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী, মুফতি অছিয়র রহমান, পিপলস ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক একরামুল করিম, শাহাদাতে কারবালা মাহফিলের অর্থ সম্পাদক আবদুল হাই মাসুম প্রমুখ।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কামাল উদ্দিন। তিনি বলেন, “সুফি মিজান একজন সফল শিল্পপতি হলেও তিনি নিজেকে উঁচু করে দেখেননি। বরং সম্পদের ব্যবহার করে হয়েছেন সহনশীল, নম্র ও দানশীল। দুর্নীতিমুক্ত ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সমাজে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।”

তিনি আরও জানান, ব্যাংকিং ও বীমা খাতে তার নেতৃত্বাধীন পিএইচপি ফ্যামিলির নামে কখনো কোনো চেক ডিজঅনার হয়নি এবং কোনো ঋণ খেলাপির নজিরও নেই। ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে ও বিদেশে বহু মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন বলেও জানান তিনি।

সুফি মিজান বহু মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, হিফজখানা ও এতিমখানা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় সরাসরি যুক্ত। ঢাকায় ইউআইটিএস এবং নারায়ণগঞ্জের কাঞ্জনে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠাসহ অসংখ্য দৃষ্টান্ত রয়েছে তাঁর।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ, মিশরের জামিউল আযহারে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের জন্য বৃত্তি, আরবি ভাষা ও ইসলামি শিক্ষায় কোচিংসহ নানা উদ্যোগ চালু রেখেছেন তিনি।

কোভিড মহামারির সময় তিনি কর্মীদের ছাঁটাই না করে তাদের পাশে ছিলেন, রোগীদের চিকিৎসা ও খাদ্য বিতরণ করেন এবং কারখানায় আশ্রয় দেন বন্যাদুর্গতদের।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীর সিএমএম আদালতে সুফি মিজানসহ আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ২০১ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, তারা ছাত্র ও জনতার “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন” দমনে অর্থায়ন করেছেন। সেই মামলাকেও ‘কাল্পনিক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করেন আয়োজকরা।

নেতৃবৃন্দ এই মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করে সুফি মিজানুর রহমানের সম্মান রক্ষার জন্য প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টাসহ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।