
প্রতিবেদক: আগামীকাল সোমবার (২৭ মে) থেকে সারা দেশের সব শুল্ক ও কর দপ্তরে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই কর্মবিরতি, যা আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও ওষুধ ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম আমদানির ওপর প্রযোজ্য হবে না।
আজ রোববার বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন উপকমিশনার আবদুল কাইয়ুম ও উপকর কমিশনার রইসুন নেসা।
দিনভর রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনের নিচতলায় প্রধান ফটকের পাশে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বন্ধ রাখা হয় প্রধান দুইটি প্রবেশ ফটক। ফলে কার্যত এনবিআরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। আজ সকাল থেকেই সেখানে এমন চিত্র দেখা গেছে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দরসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ শুল্ক স্টেশনগুলোতেও কর্মবিরতি চলেছে।
এই আন্দোলনের পেছনে রয়েছে সম্প্রতি জারি করা একটি অধ্যাদেশ। সরকার ১২ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এনবিআর ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ বিলুপ্ত করে নতুনভাবে রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি বিভাগ গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গত কয়েক দিন ধরেই “এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ” ব্যানারে আন্দোলন করে আসছেন।
সংগঠনের চার দফা দাবি হচ্ছে জারি করা এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ সর্বসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।এনবিআরের প্রস্তাবিত খসড়া ও সুপারিশসমূহ ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সংস্কার করতে হবে।
এ আন্দোলনের ফলে আমদানি-রপ্তানিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।