স্কয়ার ফার্মার শেয়ার লেনদেনে শীর্ষে, আয় ও সম্পদমূল্যে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি

প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস পিএলসি গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) শেয়ার লেনদেনের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশই ছিল এই কোম্পানির শেয়ারে।

এদিকে ২০২৫ হিসাব বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্কয়ার ফার্মা। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৬ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৫ টাকা ৫৫ পয়সা—অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১ টাকা ২৮ পয়সা।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিক (জুলাই ২০২৪ থেকে মার্চ ২০২৫) মিলিয়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ১৫ পয়সা, যেখানে আগের বছর ছিল ১৮ টাকা ২৪ পয়সা। এ ছাড়া ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৫১ টাকা ৯৪ পয়সা, যা ২০২৪ সালের ৩০ জুন ছিল ১৪২ টাকা ৫ পয়সা।

তবে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ১৭ টাকা ৩২ পয়সা।

২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে স্কয়ার ফার্মা বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই বছরে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২৩ টাকা ৬১ পয়সা, নিট সম্পদমূল্য ছিল ১৪২ টাকা ৫ পয়সা এবং নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ২০ টাকা ৯০ পয়সা।

২০২৩ সালে কোম্পানিটি ১০৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। সে সময় শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২১ টাকা ৪১ পয়সা, নিট সম্পদমূল্য ১২৯ টাকা ৯৫ পয়সা এবং নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ৯ টাকা ৬৪ পয়সা।

২০২২ সালে কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়। তখন শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ২০ টাকা ৫১ পয়সা, নিট সম্পদমূল্য ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা এবং নগদ অর্থপ্রবাহ ছিল ১৪ টাকা ৫২ পয়সা।

১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস বর্তমানে ‘এ’ শ্রেণির কাতারে লেনদেন করছে। ১ হাজার কোটি টাকার অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন ৮৮৬ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ১১ হাজার ৫০১ কোটি ৯৩ লাখ টাকার বেশি। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮৮ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ১০টি।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৪৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে ১৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।