স্পেশালাইজড জোনে যন্ত্রপাতি আমদানিতে অফশোর ব্যাংকিংয়ের অর্থায়নে ছাড়

প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এখন থেকে দেশের স্পেশালাইজড জোনে সম্পূর্ণ বিদেশি মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বানুমতি ছাড়াই তিন বছর পর্যন্ত মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় অর্থায়ন পাবে অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট থেকে। বৃহস্পতিবার জারি করা সার্কুলারে আরও বলা হয়, ওবিইউগুলো তাদের রেগুলেটরি ক্যাপিটালের ৩০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ দেশের ডমেস্টিক ব্যাংকিং ইউনিট থেকে ধার নিতে পারবে, তবে তা সময়োপযোগীভাবে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত সীমার মধ্যে থাকতে হবে।

যেসব ওবিইউ ইতিমধ্যেই ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ নিয়েছে, তাদেরকে এই সার্কুলার জারির তিন মাসের মধ্যে সেই ঋণ সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ওবিইউ থেকে নেওয়া ডিবিইউ ঋণ ৩০ শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। তবে অনেক ব্যাংক তা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তখন কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে ছাড় দেয়। নতুন সার্কুলারে এখন তিন মাসের সময়সীমা দিয়ে সেই ঋণ সীমা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।

এই সুবিধা মূলত নতুন স্পেশালাইজড জোনগুলোর বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সহজে যন্ত্রপাতি আমদানির সুযোগ করে দিতে দেওয়া হয়েছে। কারণ, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরনের জটিলতার মুখে পড়তে হয়। অফশোর ব্যাংকিং আইন, ২০২৪ অনুযায়ী, স্পেশালাইজড জোন বলতে অর্থনৈতিক অঞ্চল, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল বেসরকারি, হাই-টেক পার্ক বা সরকার ঘোষিত অন্য যেকোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলকে বোঝায়।

উল্লেখ্য, অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটগুলো বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে, যার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক অর্থায়ন, যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণ, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা ও আমানত গ্রহণ। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারী ও স্পেশালাইজড জোনে কার্যরত কোম্পানিগুলোর জন্য মূলধন সংস্থান সহজতর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।