
প্রতিবেদক: দীর্ঘ ১০ দিনের টানা দরপতনের পর হঠাৎ করেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দিনের শুরুটা ছিল পতনের ধারাবাহিকতায়, কিন্তু শেষদিকে ব্যাপক উলটপালট ঘটে যায় বাজারে। সূচকের বড় ধরনের ঘুরে দাঁড়ানো এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
দুপুর ১২টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৫৮টি কোম্পানির শেয়ারদর বাড়লেও, বিপরীতে ২৭৮টির দর কমে যাচ্ছিল। তবে দুপুর আড়াইটায় লেনদেন শেষ হওয়ার সময় ২৩৫টি শেয়ারের দর বেড়ে যায়, আর কমে ৯৯টির। অপরিবর্তিত ছিল ৬২টির দর।
এ নাটকীয় ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের তুলনায় কম শেয়ার কেনা হলেও এদিন বিক্রি হয়নি কোনো শেয়ার, বরং আক্রমণাত্মকভাবে কেনা হয়েছে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ার—যা বাজারে ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে সহায়ক হয়।
ডিএসইর সূচক বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৪,৯১৪ পয়েন্টে। এরপর ক্রমশ বাজারে ক্রয়চাপ বাড়তে থাকায় সূচক বাড়তে শুরু করে এবং দুপুর সোয়া ২টার দিকে সূচক ১০০ পয়েন্ট বেড়ে পৌঁছায় ৫,০১৫ পয়েন্টের ঘরে। শেষ পর্যন্ত সূচকটি দিনের শুরু থেকে ২৩ পয়েন্ট বেড়ে বন্ধ হয় ৪,৯৯৫ পয়েন্টে।
বাজারে যেসব শেয়ারের দর উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—খুলনা প্রিন্টিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ফার্মা ও কেয়া কসমেটিকস। দিনের শুরুতে এসব কোম্পানির দর ৫-১০ শতাংশ পর্যন্ত কমলেও লেনদেন শেষে ৮-১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
সূচক ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জ হোলসিম, স্কয়ার ফার্মা ও বসুন্ধরা পেপারের মতো বড় মূলধনী কোম্পানিগুলোর শেয়ার।
দিনশেষে ডিএসইতে মোট ৩৯৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেনে অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৩৫টির দর বেড়েছে, ৯৭টির কমেছে এবং ৬২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।