
প্রতিবেদক: অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে সরকার দীর্ঘমেয়াদি বা মধ্যমেয়াদি কোনো সংস্কারে না গিয়ে কিছু মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। তিনি বলেন, “আমরা এই সরকারে দীর্ঘদিন থাকছি না, খুব বেশি হলে ৭–৮ মাস। এই সময়ের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে আমরা এবং প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত সিরিয়াস।
বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট’-এ ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শাসনে এফআরসির ভূমিকা ও প্রভাব’ শীর্ষক সেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, “যতটুকু সংস্কার শুরু হয়েছে, আমরা তা বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। যদিও আমরা নানা প্রতিবন্ধকতা ও জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছি—অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো বাইরে থেকে বোঝা যায় না।” এ সময় তিনি এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় ব্যবসায়ী ও ঋণদানকারী সংস্থাগুলোর সহযোগিতার প্রশংসা করেন।
সামিটে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)-এর চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মানসুর, এবং বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সোলেয়মান কুলিবালি।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের লিড গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট সুরাইয়া জান্নাত।
এছাড়া বক্তব্য দেন বাংলাদেশ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট (আইসিএবি)-এর সভাপতি এন কে এ মবিন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট (আইসিএমএবি)-এর সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।