
অনলাইন ডেক্স: পণ্য চালানের শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় নতুন নিয়ম চালু করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সাতটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের সার্টিফিকেট, লাইসেন্স, ও পারমিট বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো) সিস্টেমের মাধ্যমে দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কোনো ধরনের সনাতনী (অনলাইনে আপলোড না করা) সনদ আর গ্রহণ করবে না শুল্ক কর্তৃপক্ষ।
বাধ্যতামূলক অনলাইন সিস্টেমের আওতায় প্রতিষ্ঠানগুলো:
১. বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)
২. বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ
৩. ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর
৪. রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)
৫. বিস্ফোরক অধিদপ্তর
6. পরিবেশ অধিদপ্তর
7. বাংলাদেশ ন্যাশনাল অথরিটি ফর কেমিক্যাল উইপনস কনভেনশন
গতকাল এনবিআর থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, এই সিস্টেমের মাধ্যমে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অনলাইনে দাখিল করতে হবে। এতে শুল্ক কর্মকর্তারা সহজে যাচাই-বাছাই করতে পারবেন।
১ মার্চ থেকে আরও ১৯টি সরকারি দপ্তর এই প্রক্রিয়ার আওতায় আসবে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এক অনুষ্ঠানে জানান, “মার্চ থেকে সব লাইসেন্স ও সার্টিফিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে গ্রহণ করা হবে। অনলাইনে আবেদন না করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বাজেট বরাদ্দ আটকে দেওয়া হবে।
এই সিস্টেমের মাধ্যমে একজন আমদানিকারক-রপ্তানিকারক সব ধরনের প্রয়োজনীয় সেবা একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই পাবেন।
- দ্রুত পণ্য খালাস সম্ভব হবে।
- সময় ও খরচ কমবে।
- শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধ সহজতর হবে।
বাংলাদেশ ২০১৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অ্যাগ্রিমেন্ট (টিএফএ) স্বাক্ষর করে। এর ১০.৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সিঙ্গেল উইন্ডো ব্যবস্থা চালুর নির্দেশনা রয়েছে।
এনবিআরের উদ্যোগে ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো প্রকল্প চালু হয়। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) আবেদন এবং তথ্য দাখিলের মূল প্ল্যাটফর্ম।
অ্যাডভান্সড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এআরএমএস) সেবা প্রদান ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার জন্য।
এই সিস্টেম চালুর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুততর ও সহজ হবে এবং বন্দরগুলোর কার্যক্রম আরও দক্ষ হবে।