
অনলাইন ডেক্স: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তিনটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করেছে। বিকন ফার্মা, রহিমা ফুড এবং বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস পিএলসি (বিবিএস) নামের এসব কোম্পানিকে ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তর করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুমোদিত লভ্যাংশ বিতরণ না করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে বিকন ফার্মা ও রহিমা ফুডকে ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে এবং বিবিএসকে ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
ডিএসইর নীতিমালা অনুযায়ী—
- ‘এ’ ক্যাটাগরি: নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করা এবং কমপক্ষে ১০% লভ্যাংশ প্রদান করা কোম্পানিগুলো এ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
- ‘বি’ ক্যাটাগরি: নিয়মিত এজিএম করলেও ১০% এর কম লভ্যাংশ দেওয়া কোম্পানিগুলো এই ক্যাটাগরিতে থাকে।
- ‘এন’ ক্যাটাগরি: নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়।
- ‘জি’ ক্যাটাগরি: গ্রিনফিল্ড কোম্পানি, অর্থাৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার আগেই তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো এতে পড়ে।
- ‘জেড’ ক্যাটাগরি: যারা নিয়মিত এজিএম করে না, লভ্যাংশ প্রদান করে না বা টানা ছয় মাসের বেশি সময় উৎপাদন বন্ধ রাখে, তারা এই ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত হয়।
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকদের মতে, কোম্পানিগুলোর শ্রেণিবিন্যাসের মূল উদ্দেশ্য দুটি—
বিনিয়োগকারীদের ভালো ও দুর্বল পারফরম্যান্স করা কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সহায়তা করা।
ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে কোম্পানির মান যাচাইয়ে সহায়তা করা।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, ‘এ’, ‘বি’, ‘এন’ ও ‘জি’ ক্যাটাগরির শেয়ারের বিপরীতে ঋণসুবিধা পাওয়া গেলেও, ঋণ পাওয়ার জন্য আরও কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এর মধ্যে অন্যতম শর্ত হলো, সংশ্লিষ্ট কোম্পানির মূল্য-আয় অনুপাত (P/E Ratio) ৪০-এর নিচে থাকতে হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি বা ক্যাটাগরি পরিবর্তিত হলে প্রথম ৩০ কার্যদিবস পর্যন্ত শেয়ারের বিপরীতে ঋণ সুবিধা স্থগিত থাকবে।
আজ (মঙলবার) থেকে কোম্পানিগুলো ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করবে।