
অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ সরকার রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৩০ হাজার টন রক ফসফেট আমদানির জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এই আমদানির জন্য মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯০ কোটি ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সরকারের এই পদক্ষেপটি কৃষি ও শিল্প খাতে প্রয়োজনীয় সার এবং কাঁচামাল সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে, যা দেশের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সিদ্ধান্তটি মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে গৃহীত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এ সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে, এই দুই দেশের সাথে সার আমদানির বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং প্রস্তাবটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশের কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির আওতায় রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এই সারটি কৃষি খাতে ব্যবহৃত হবে এবং দেশের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
রাশিয়ার ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন (প্রোডিন্টরগ) থেকে এই সার আমদানির জন্য প্রস্তাবটি অনুমোদন পেয়েছে, যার জন্য সরকারের ব্যয় হবে ১০৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম পড়বে ২৯৪.৫০ মার্কিন ডলার। এটি বাংলাদেশের কৃষি খাতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, বিশেষ করে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার হিসেবে যা মাটির পুষ্টি ধরে রাখতে সহায়তা করবে।
এছাড়া, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেসার্স জেনট্রেড এফজেডই এর কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন রক ফসফেট আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রক ফসফেটের ব্যবহারের মাধ্যমে সার উৎপাদন ও কৃষি খাতে আরও উন্নতি করা সম্ভব হবে।
এই আমদানিতে সরকারের ব্যয় হবে ৮২ কোটি ২৬ লাখ টাকা, এবং প্রতি মেট্রিক টন রক ফসফেটের দাম পড়বে ২২৮.৫০ মার্কিন ডলার। রক ফসফেট হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল যা ফসফরাসযুক্ত সার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, এবং এটি ফসলের ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
সরকারের এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের কৃষি এবং শিল্প খাতের সার সরবরাহ নিশ্চিত হবে, যা কৃষক এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য উপকারী। বিশেষ করে এমওপি সার এবং রক ফসফেট কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে, যা খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি খাতের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি, সার আমদানি প্রসেসে স্বচ্ছতা বজায় রেখে মূল্য সহনশীলতার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে, যাতে কৃষকরা সঠিক মূল্যে সার পেয়ে তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে।