ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে পোশাক আমদানি

অনলাইন ডেক্স: বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) জানিয়েছে, ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে শাড়ি, টু-পিস, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা ইত্যাদি পোশাক দেশে প্রবেশ করছে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে যে পরিমাণ ভারতীয় পোশাক বিক্রি হয়, তার তুলনায় বৈধ আমদানি অনেক কম। মূলত মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বা চোরাচালানের মাধ্যমে এসব পণ্য বাজারে প্রবেশ করছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশে কাপড়ের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৮০০ কোটি মিটার। এর একটি অংশ দেশীয় তাঁত, হস্তশিল্প ও পাওয়ারলুম থেকে আসে, তবে অবৈধভাবে আমদানি হওয়া কাপড়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। সাধারণত ভারত, পাকিস্তান, চীন, মিয়ানমার, হংকং, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, জাপানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাপড় আমদানি হয়।

২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ১৩,০০০ কোটি ও ১৩,৬৩৫ কোটি টাকার শাড়ি আমদানি হয়, যার মধ্যে ভারত থেকে আসে ২৮২ ও ২৫৮ কোটি টাকার শাড়ি।

একই সময়ে টু-পিস, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা ইত্যাদি পোশাক আমদানি হয় ২,১৭৯ কোটি ও ১,৫৩১ কোটি টাকা, যার মধ্যে ভারত থেকে আসে ১১৬ ও ৭৬ কোটি টাকার পোশাক।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের (জুলাই-৯ ডিসেম্বর) মধ্যে ৭,৯৩০ কোটি টাকার শাড়ি ও ৬৫৮ কোটি টাকার পোশাক আমদানি হয়েছে, যার মধ্যে ভারত থেকে এসেছে ১০৬ ও ১৭ কোটি টাকার পণ্য।

ট্যারিফ কমিশন স্থানীয় শিল্প সুরক্ষায় কিছু সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে -টু-পিস, থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, শাড়িসহ সব ধরনের পোশাক আমদানিতে যথাযথ শুল্কায়ন নিশ্চিত করা।
ব্যাগেজ রুলসে আনা কাপড় ও পোশাকের এইচএস কোডে যথাযথ শুল্ক নির্ধারণ।আমদানির সময় মিথ্যা ঘোষণা প্রতিরোধে শুল্ক স্টেশনগুলোতে কাস্টমস কর্মকর্তার পাশাপাশি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে শতভাগ পণ্য পরীক্ষা করা।

সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়, তবে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশীয় তাঁত ও জামদানি শিল্পের বাজার সুরক্ষিত থাকবে এবং অবৈধ আমদানি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে।