
অনলাইন ডেক্স: চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানিতে ৭.১% প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারিতে তা ২২.৬% কমে গেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৪৫.৪৬ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ১৩৫.৮১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় বেশি।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপে বাংলাদেশি ওষুধের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্রয়াদেশ বাড়ায় রপ্তানি বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সহায়তা হ্রাস,ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় সাময়িক সরবরাহ বন্ধ।
ফেব্রুয়ারিতে ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৩.০২ মিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ১৬.৮১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় কম। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক-দুই মাসের নেতিবাচক প্রবণতা রপ্তানিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে না।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস রপ্তানি আদেশ স্থিতিশীল ও যুক্তরাষ্ট্রে সরাসরি সরবরাহ চলমান।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি কমে, তবে এটি সাময়িক। এপ্রিলে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
রেনাটা লিমিটেড রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার তুলনায় কম হলেও দীর্ঘমেয়াদে বাজার ইতিবাচক। ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস ইউএসএআইডির তহবিল বাতিলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত। দুই মিলিয়ন ডলারের ইনজেকশন চালান বাতিল হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় রপ্তানি পুনরায় শুরু হওয়ায় আগামী মাসগুলোতে বাজার পুনরুদ্ধার হবে। ওষুধ রপ্তানি আয় তুলনামূলকভাবে ছোট হলেও এটি দেশের ভাবমূর্তি ও ওষুধ শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।